ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্তের পর, অশান্ত পুরো মধ্যপ্রাচ্য। আমিরাতের বিতর্কিত ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আবুধাবিতে নিজেদের দূতাবাস বন্ধ করেছে তুরস্ক। অন্যদিকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইরান বলেছে, ফিলিস্তিনসহ গোটা মুসলিম উম্মাহ’র সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আমিরাত। এদিকে দেশটির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুক্রবার মসজিদুল আকসার সামনে বিক্ষোভ করেছেন বিক্ষুব্ধরা।
আরো পড়ুনঃ ওমানে ভিক্ষা করলে এক বছরের জেল
তবে এই চুক্তির সমর্থন জানিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সুলতানাত অব ওমান। শুধুমাত্র সমর্থনই করেছে বিষয়টা এমন না, ওমানের পক্ষথেকে এই চুক্তিকে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি হিসেবেও আখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং এই চুক্তির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়বিচার এবং স্থায়ী শান্তি অর্জনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে ওমান। শুক্রবার (১৪-আগস্ট) ওমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই সংবাদ জানিয়েছে ওমান নিউজ এজেন্সি।
এদিকে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘শান্তি’ চুক্তির নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ। এ বিষয়ে ইরান বলছে, এই চুক্তি করে আমিরাত মুসলিম উম্মাহর পিঠে ছুরি মেরেছে। অন্যদিকে তুরস্ক বলেছে, এই চুক্তি করে আমিরাত যে ভণ্ডামি করেছে, সেটা এই অঞ্চলের জনগণ ভুলবে না। এছাড়া ফিলিস্তিনের সব পক্ষ ইসরায়েল-আমিরাতের এই চুক্তির নিন্দা জানিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ প্রবাসীদের বিষয়ে সংসদে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার( ১৪ আগস্ট) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আমিরাত ও ইসরায়েল কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যে চুক্তি করেছে, তা মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে। লজ্জাজনক এই চুক্তি উপসাগরীয় অঞ্চলে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়াবে। এই অঞ্চলে এ ধরনের সব কর্মকাণ্ডের দায় আমিরাতকে নিতে হবে।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এই অঞ্চলের মানুষ কখনোই আমিরাতের এই ভণ্ডামি ভুলবে না, তারা কখনোই আমিরাতকে ক্ষমা করবে না। ফিলিস্তিনের বিষয়ে ইসরায়েল সঙ্গে মধ্যস্থতা করার কোনো অধিকার আমিরাতের নেই।
এদিকে ফিলিস্তিনের সব পক্ষ এই চুক্তির বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে। ফিলিস্তিনের সমাজ কল্যাণমন্ত্রী আহমেদ মাজদালিন বলেন, ফিলিস্তিনিদের এমন সংকটকালে আমিরাত কেন এমন চুক্তি করল, সে ধারণা আমাদের নেই। চুক্তি হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে যারা ওমান যেতে পারবেন
উল্লেখ বৃহস্পতিবার( ১৩ আগস্ট) ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই দুই দেশের ‘ঐতিহাসিক চুক্তির’ কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তির আওতায় অধিকৃত পশ্চিম তীরের আরও ভূমি দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা ইসরায়েল স্থগিত করবে বলে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে যৌথ বিবৃতি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ আল নাহিয়ান।
আরও দেখুনঃ প্রবাস টাইম নিয়ে যা বললেন ওমানের রাষ্ট্রদূত
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post