ডলারের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান অস্বাভাবিক হারে কমতে শুরু করেছে। দেশে ডলারের তীব্র সংকটের কথা বাইরের দেশগুলোতে প্রচারিত হওয়ার পর বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো টাকার মান কমিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মুদ্রার মান বাড়িয়ে দিয়েছে। গত এক এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান কমেছে ৭ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ৫৩ শতাংশ রেমিট্যান্স আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। এরমধ্যে ওমানের রিয়ালের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২৯০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০০ টাকা হয়েছে। সে হিসেবে দাম বেড়েছে সাড়ে ৩ শতাংশ। সৌদি রিয়ালের দামও ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৪ টাকা হয়েছে।
এক সপ্তাহ আগে কুয়েতি দিনারের দাম ছিল ৩৫০ টাকা। গত বৃহস্পতিবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০০ টাকায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে টাকার মান কমেছে ১৪ শতাংশ। কাতার রিয়ালের দাম এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩১ টাকা। গত বৃহস্পতিবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা। দাম বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ।
এদিকে এমন লাগামহীন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় বিপদে আছে ব্যংকিং সেক্টরগুলো। সংকট কমাতে বাফেদা ও এবিবির নির্দেশনা অনুযায়ী এখন রেমিট্যান্স কেনায় ডলারের দর সর্বোচ্চ ১১৬ টাকা। কিন্তু কিছু ব্যাংক ওই দামে রেমিট্যান্সের ডলার না পেয়ে বাধ্য হয়ে ১২২ থেকে ১২৭ টাকা দামেও ডলার কিনছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post