ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, স্ক্যামাররা তাদের তথ্য না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বা মোবাইল নষ্ট হয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়। কিছু দিন আগে বাংলাদেশ হতে স্ক্যামাররা অনেক প্রবাসীর ইমো ও মেসেঞ্জার আইডি হ্যাক করে তাদের বন্ধু-বান্ধদের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা–পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
কোপেনহেগেন সেন্ট্রাল স্টেশনে অবস্থিত ডেনিশ পুলিশের পাবলিক কমিউনিকেশন সেন্টার জানায়, ডেনমার্কে বাংলাদেশি কমিটির সবার অবগত হওয়া উচিত যে, পুলিশ জরুরি বিষয়ে ই-বক্সে মেইল দিয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে।
ডেনিশ পুলিশের পাবলিক কমিউনিকেশন সেন্টার আরও জানায়, এক্ষেত্রে পুলিশের পরামর্শ হলো ফোন কলে কাউকে সিপিআর নম্বর না দিতে। কারণ এই নম্বর ব্যবহার করে লোন স্ক্যামিং করা সম্ভব হয়। যদি পুলিশের নাম করে কেউ কথা বলে তা পুলিশের যোগাযোগ নম্বর কি–না জানতে ১১৪ নম্বরে কল দিয়ে নিশ্চিত হতে হবে। আরও যদি কেউ হ্যাকিংয়ের শিকার হয় তাহলে politi.dk তে দেওয়া মেইল আইডিতে মেইল করে পুলিশকে বিস্তারিত জানাতে হবে। সিপিআর নম্বর ব্যবহার করে লোন স্ক্যাম ঠেকাতে borger.dk তে গিয়ে লোন অপশনে লোন অফ করে দিতে হবে।
গত কয়েকদিন ধরে স্ক্যামারদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হচ্ছেন।
জানা গেছে, এবার স্ক্যামাররা মোবাইল ব্যংকিং হ্যাক ও সিপিআর (সোস্যাল সিকিউরিটি নম্বর) ব্যবহার করে লোন উত্তোলনের উদ্দেশ্যে ডেনিশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার হতে জরুরি তথ্য চাওয়ার নাম করে সিপিআর নম্বরসহ নানা তথ্য জানতে চান।
ডেনমার্কে আবারও বিদেশিদের লক্ষ্য করে তৎপরতা শুরু করেছে স্কামাররা। প্রবাসী ও নতুন আগতদের ইমো, মেসেঞ্জার, ই-মেইল হ্যাকিংয়ের পর এবার ডেনিশ পুলিশের নাম দিয়ে ফোন করে স্ক্যামাররা মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করার তৎপরতা শুরু করেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post