লেকের কাছে গিয়ে বড় বিপদে পড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এক কৃষক। বিশাল এক কুমির চুপিচুপি এসে হঠাৎ পা কামড়ে ধরে গভীর পানিতে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল তাকে। এ অবস্থায় প্রথমে লাথি মেরে কুমিরের মুখ থেকে ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় একপর্যায়ে পাল্টা কামড় বসান হিংস্র প্রাণীটির চোখে। আর তাতেই হয় প্রাণরক্ষা!
সৌভাগ্যবান সেই ব্যক্তির নাম কলিন ডেভেরক্স। যদিও ১০ ফুট লম্বা কুমিরের কামড় খেয়ে টানা এক মাস হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে তাকে। ডেভেরক্স পেশায় পশুপালক। গত মাসে ফিনিস নদীর কাছে বেড়া দেওয়ার সময় একটি লেকের কাছে গিয়ে বিপদে পড়েছিলেন তিনি।
অস্ট্রেলীয় এ নাগরিক জানান, লেকের মাঝখানে কিছু মাছ সাঁতার কাটছে দেখে তিনি থেমেছিলেন। ফের রওয়ানা দেওয়ার সময় হঠাৎ একটি কুমির তার ডান পা কামড়ে ধরে এবং টানতে টানতে পানির ভেতরে টেনে নিয়ে যায়। ডেভেরক্স জানান, তিনি প্রথমে অন্য পা দিয়ে কুমিরের বুকে লাথি মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় এর চোখের পাতা কামড়ে ধরেন।
তিনি বলেন, আমি এমন একটি বিশ্রী অবস্থানে ছিলাম… কিন্তু দুর্ঘটনাক্রমে আমার দাঁত তার চোখের পাপড়ি কামড়ে ধরেছিল। এটি বেশ পুরু ছিল, অনেকটা চামড়া ধরে থাকার মতো। কিন্তু আমি কুমিরের চোখের পাতায় কামড় দিলে সে আমাকে ছেড়ে দেয়।
‘সঙ্গে সঙ্গে আমি লাফ দিয়ে উঠে যাই এবং যেখানে গাড়ি ছিল বড় বড় পদক্ষেপে সেদিকে যাওয়া শুরু করলাম। তখনো কুমিরটি আমাকে তাড়া করে। সম্ভবত চার মিটার এসেছিল। কিন্তু তারপর থেমে যায়।’
ডেভেরক্স জানান, তিনি একটি তোয়ালে ও দড়ি দিয়ে পা বেঁধে রক্তপাত বন্ধের চেষ্টা করেন। এরপর তার ভাই গাড়ি চালিয়ে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরের রয়াল ডারউইন হাসপাতালে নিয়ে যান তাকে। ভুক্তভোগী বলেন, যদি সে (কুমির) আমাকে অন্য কোথাও কামড়াতো, তাহলে হয়তো পরিস্থিতি ভিন্ন হতো। এই ঘটনা আমার চোখ খুলে দিয়েছে।
স্থানীয় সরকারের মতে, কুমির হলো অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের ভিত্তি এবং আইনের মাধ্যমে সুরক্ষিত। বৈজ্ঞানিক আগ্রহের পাশাপাশি প্রাণীগুলোকে পর্যটক আকর্ষণের মূল্যবান উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post