হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর চলমান সংঘাত নিয়ে ফোনে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে কথা বলেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)। তিনি মাহমুদ আব্বাসকে বলেন, এই সংঘাতে সৌদি আরব বরাবরের মতোই ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। ফোনে মাহমুদ আব্বাসকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ন্যায্য অধিকার, একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবনের জন্য সংগ্রাম এবং আশা ও আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করে ন্যায্য ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থাকবে সৌদি আরব।
এ ছাড়া এই সংঘাত বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে আলাপ করবেন বলেও জানান মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেন, চলমান সংঘাত থামাতে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে সৌদি আরব। এই ফোনালাপ নিয়ে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছে মোহাম্মদ বিন সালমানের দপ্তর।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসছেন আরব লিগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। আগামী বুধবার মিসরের কায়রোতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
এদিকে, গাজা উপত্যকা পুরোপুরি অবরোধ করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। বন্ধ করা হয়েছে পশ্চিম তীরের প্রবেশপথও। এরই মধ্যে ৩ লাখ রিজার্ভ সেনাসদস্যকে তলব করেছে দেশটি। অন্যদিকে, পাল্টা অবস্থানে রয়েছে হামাস। সংঘাতে এখন পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। দুই পক্ষে আহতের সংখ্যা ৬ হাজারের বেশি।
ইসরায়েলের দাবি, হামাসের হামলায় তিন দিনে অন্তত ৯০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় গাজায় মারা গেছে কমপক্ষে ৭০৪ ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘ বলছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছে গাজার লক্ষাধিক বাসিন্দা।
Israel is at war.
We didn’t want this war.
It was forced upon us in the most brutal and savage way.
But though Israel didn’t start this war, Israel will finish it.Once, the Jewish people were stateless.
Once, the Jewish people were defenseless.
No longer.Hamas will… pic.twitter.com/eVECGnzLu3
— Benjamin Netanyahu – בנימין נתניהו (@netanyahu) October 9, 2023
হামাসের হঠাৎ হামলার পর গাজা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ইসরায়েল। সাঁজোয়া যান, ট্যাংকসহ ভারী যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে অন্তত এক লাখ ইসরায়েলি সেনা। বিদেশে অবস্থানরত সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে ইসরায়েল।
গাজায় প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করে। ২০০৭ সাল থেকেই গাজার আকাশ, স্থল ও সমুদ্র অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। তাই, মূলত আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল সেখানকার বাসিন্দারা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post