লোকগানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের জেলে যাওয়া নিয়ে হুঙ্কার ছাড়লেন ভারতের প্রখ্যাত ইভেন্ট অর্গানাইজার শক্তিশঙ্কর বাগচী। তিনি বলেন, মমতাজের জেলে যাওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মমতাজের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে অনুষ্ঠান করতে না আসায় বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আদালত। এ মামলায় ৮ সেপ্টেম্বর জামিন পান মমতাজ। এর পরই সেই জামিনের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শক্তি শঙ্কর বাগচী। শুধু মমতাজ নয়; মমতাজকে জামিন দেওয়ায় বহরমপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলকেশ দাসের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে হাইকোর্টে পিটিশন করেছেন বলে জানান শক্তি শঙ্কর বাগচী।
শক্তি শঙ্কর বাগচী বলেন, ‘আমি লোয়ার কোর্টে মামলা করেছি, আমি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছি, জাজদের পার্টি করে মামলা করেছি। অর্ডার আমার ফেবারে। আমি বলছি না, আমি সব থেকে বেশি জানি বা সব জানি। পয়েন্টটা হচ্ছে এটাই যে, মমতাজের জেলযাত্রা শুধু সময়ের অপেক্ষা। মমতাজ শুধু নয় মমতাজের স্বামী এবং মমতাজের এখানকার যে আইনজীবী সবাই জেলে যাবে— এটা সময়ের অপেক্ষা।
তিনি আরও বলেন, হাইকোর্ট আমাকে মামলা করার অনুমতি দিয়েছে। তার পর আমি মুখ খুলব। হাইকোর্ট বিষয়টি পুরোপুরি জানে। নিম্ন আদালতের যে বিচারক মমতাজকে জামিন দিয়েছেন, তিনিও এটা জানেন। তিনিও আইনের লোক। কিন্তু এই মামলায় ফরেন অ্যাক্টটাই অ্যাপ্লাই হয়নি। সেখানে ২০৫ ধারা অর্থাৎ আসামির সশরীরে আদালতে হাজিরা না দেওয়ার ক্ষেত্রে আদালত অনুমতি দিয়েছে। যেখানে মমতাজের পাসপোর্ট দুই রকম নামে রয়েছে। হাইকোর্টের অর্ডার রয়েছে মেরিট অনুযায়ী বিচার করতে। এমনকি এর আগে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জামিন বাতিল করেছেন। আমি তখনো নিম্ন আদালতের বিচারককে পার্টি করে হাইকোর্টে মামলা করেছিলাম।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post