https://www.friendimobile.com/ https://www.friendimobile.com/ https://www.friendimobile.com/
Wednesday, November 29, 2023
Probash Time: Voice of Migrants
  • প্রবাস
  • ইউরোপ
  • এশিয়া
  • আমেরিকা
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • ওমান
  • সৌদি আরব
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • প্রযুক্তি
  • অন্যান্য
    • সামাজিক
    • কৃষি
    • স্বাস্থ্য
    • খেলাধুলা
    • খোলা কলম
    • চাকরি
    • জানা অজানা
    • জীবনের গল্প
    • ধর্ম
    • বাণিজ্য
    • বিনোদন
    • মতামত
    • ইউনিকোড টু বিজয় কনভার্টার
PT
No Result
View All Result
Probash Time: Voice of Migrants
  • প্রবাস
  • ইউরোপ
  • এশিয়া
  • আমেরিকা
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • ওমান
  • সৌদি আরব
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • প্রযুক্তি
  • অন্যান্য
    • সামাজিক
    • কৃষি
    • স্বাস্থ্য
    • খেলাধুলা
    • খোলা কলম
    • চাকরি
    • জানা অজানা
    • জীবনের গল্প
    • ধর্ম
    • বাণিজ্য
    • বিনোদন
    • মতামত
    • ইউনিকোড টু বিজয় কনভার্টার
No Result
View All Result
Probash Time: Voice of Migrants
No Result
View All Result
প্রচ্ছদ অপরাধ

অবৈধ হুন্ডি খেয়ে ফেলছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

শাহীনুল ইসলামশাহীনুল ইসলাম
September 16
পড়তে সময় লাগবে: 2 মিনিট
0
রিজার্ভ রেমিট্যান্স ডলার

রেমিট্যান্সের বিপর্যয় আরো গভীর হয়েছে

0
SHARES
1
VIEWS

 

বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত দুই বছর ধরে ক্রমাগতভাবে কমছে। বর্তমানে দেশের ব্যবহারযোগ্য বা নেট রিজার্ভের পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে ২১ বিলিয়ন ডলারে। দুই বছর আগে অর্থাৎ ২০২১ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪৮.০৪ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু এরপর থেকে বৈদেশিক মুদ্রা তহবিলের যে ধারাবাহিক পতন শুরু হয়, তা আর কোনোভাবেই ঠেকানো যায়নি। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৃত বা নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার। অবশ্য বাংলাদেশের হিসেবে রিজার্ভ এখন ২৭.৬২ বিলিয়ন ডলার।

 

অবৈধ হুন্ডি খেয়ে ফেলছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অবৈধ হুন্ডি খেয়ে ফেলছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অবৈধ হুন্ডি খেয়ে ফেলছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

 

আরওপড়ুন

প্রবাসীর শিশু সন্তানের প্রান কেঁড়ে নিলো সেপটি ট্যাংক

দেশের ৩৯ লাখ পরিবারে আসছে রেমিট্যান্স

অবৈধ হুন্ডি খেয়ে ফেলছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অবৈধ হুন্ডি খেয়ে ফেলছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অবৈধ হুন্ডি খেয়ে ফেলছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অবৈধ হুন্ডি খেয়ে ফেলছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। তারা বলছেন, বিদেশে শ্রমিক যাওয়া বাড়লেও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে তুলনামূলকভাবে কম। হুন্ডিতে রেমিট্যান্স বেশি আসায় ওইসব ডলার চলে গেছে কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে। এতে কার্ব মার্কেটে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। একই সঙ্গে চাহিদা ও দাম বেড়েছে। কার্ব মার্কেটে প্রতি ডলারের দাম এখন ১২০ টাকা। যদিও ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রতি ডলারের বিপরীতে প্রবাসীরা প্রণোদনাসহ সর্বোচ্চ ১১২ টাকা ২৪ পয়সা পাচ্ছেন।

 

 

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকগুলোকে রেমিট্যান্সের বিপরীতে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসের ফি পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়া বিদেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্সের অর্থ পাঠাতে ব্যাংক হিসাব পরিচালনায়ও অর্থ খরচ হচ্ছে। এতে বাংলাদেশে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ এখনও সর্বোচ্চ পৌঁছেছে। যে কারণে রেমিট্যান্সের একটি অংশ সার্ভিস চার্জ হিসাবে চলে যাচ্ছে। এতে প্রবাসীদের লোকসান হচ্ছে। বাধ্য হয়ে অবৈধ হুন্ডিতে চলে যাচ্ছে প্রবাসীদের অনেকেই। এতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমছে। হুন্ডিতে ডলারের দাম বেশি পাওয়ার কারণে হুন্ডির জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। বিশেষ করে প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে যাদের মাসিক আয় কম এবং যারা অবৈধ অভিবাসী তারা হুন্ডিতেই টাকা পাঠাতে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন।
অবৈধ হুন্ডির পাশাপাশি অনেকেই ঘরে ডলার কিনে রেখেছেন। ডলারের ক্রমবর্ধমান দামও ভবিষ্যতে আরও বাড়বে এই আশায় ব্যাংকে নিম্ন সুদহারের কারণে টাকা ব্যাংকে না রেখে ডলারে সঞ্চয় করছেন। অনেকে অবৈধ এমটিএফইর মতো অনলাইন বিজনেস করে হুন্ডির আশ্রয় নিচ্ছে। অনেকে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করতে ফি দিতেও হুন্ডির মাধ্যমকে কাজে লাগাচ্ছেন। এরফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমেছে। এ কারণে ডলারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

 

জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে গেছেন ৬ লাখ ১৮ হাজার শ্রমিক। আর গত বছর শ্রমিক গেছেন রেকর্ড পরিমাণ ১১ লাখ ৩৬ হাজার। শ্রমিক যাওয়া এভাবে বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই রেমিট্যান্স বাড়ার কথা। কিন্তু হুন্ডির কারণে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কমে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান আনিস এ খান বলেন, ‘বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেয়া দামের কোনো মিল নেই। এ কারণে অনানুষ্ঠানিক মাধ্যমে বা হুন্ডিতে রেমিট্যান্স বাড়ছে। আনুষ্ঠানিক মাধ্যমে প্রবাসী আয় বাড়াতে হলে বাজারদর অনুযায়ী ডলারের বিনিময় হার ঠিক করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘খোলাবাজার ও নির্ধারণ করা দামের মধ্যে পার্থক্য অনেক বেশি। এই অবস্থা যতদিন চলবে, ততদিন আনুষ্ঠানিক মাধ্যমে আসা প্রবাসী আয় বাড়বে না।’

 

এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ডলারের দর বাজারভিত্তিক না করার কারণে রেমিট্যান্সের একটি বড় অংশ অবৈধ হুন্ডিতে চলে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশে ব্যাংকগুলো যে দর দিচ্ছে হুন্ডিওয়ালারা তার চেয়ে বেশি দামে বাসায় পৌঁছে দিচ্ছে। যে কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে হুন্ডি চ্যানেল জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বিভিন্ন দেশে শ্রমিক রপ্তানি বেড়েছে। অথচ রেমিট্যান্স বাড়ছে না।

 

প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাংকের এক বিশ্লেষণে দেখানো হয়েছে, অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে দর এক শতাংশ বেশি হলেই সাড়ে ৩ শতাংশ রেমিট্যান্স হুন্ডিতে চলে যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, হুন্ডি বন্ধের বছর তথা ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যায়, রিজার্ভও সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। এই স্ফীতির প্রধান কারণ করোনা মহামারীর সময় হুন্ডি ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ হয়েছিল। করোনা চলে যাওয়ার পরের অর্থবছরে হুন্ডিতে রেমিট্যান্স পাঠানো আবার চাঙা হয়ে ওঠে। তখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ ১৫ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ২১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলএও) জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট রেমিট্যান্সের ৪০ শতাংশ আসে ব্যাংকিং চ্যানেলে। বাকি ৬০ শতাংশের মধ্যে ৩০ শতাংশ নগদ আকারে ও বাকি ৩০ শতাংশ হুন্ডির মাধ্যমে। নগদ আকারে আসা রেমিট্যান্সের প্রায় পুরোটাই হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন হয়।

 

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বেশ কয়েক বছর আগে এক অনুষ্ঠানে তার ব্যক্তিগত গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘রেমিট্যান্সের ৪২ শতাংশ আসে হুন্ডির মাধ্যমে। বাকি ৫৮ শতাংশ আসে ব্যাংকের মাধ্যমে।’ সম্প্রতি পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নান বলেছেন, ‘হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স বেশি আসছে।’ এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেবে প্রবাসীরা চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে ৩৬ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। এই হিসাবে প্রতিদিন রেমিট্যান্স এসেছে গড়ে ৫ কোটি ২৭ লাখ ডলার। যদিও জুলাইয়ের প্রথম তিন সপ্তাহে দৈনিক রেমিট্যান্স এসেছে গড়ে পৌনে ৭ কোটি ডলার করে। তার আগের মাস জুনে প্রবাসীরা প্রতিদিন পাঠিয়েছিলেন গড়ে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ডলার করে। ওই মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আর সদ্যবিদায়ী আগস্ট মাসে প্রবাসীরা দেশে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। অর্থাৎ গত মাসে প্রতিদিন গড়ে ৫ কোটি ১৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এসেছে আগস্টে। খোলা মুদ্রাবাজারে ডলারের উচ্চ দর থাকায় প্রবাসীদের হুন্ডির মাধ্যমে আয় পাঠানোই- এজন্য দায়ী বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগস্টে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ২১.৫৭ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, গত বছরের আগস্টে রেমিট্যান্স (বৈধ চ্যানেলে) এসেছিল প্রায় ২.০৪ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া, গত চার বছরের আগস্ট মাসের তুলনায় এ বছরের আগস্টেই সর্বনিম্ন পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ৭ দিনে ৩৬ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৫৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩২ কোটি ৯১ লাখ ২০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার। সদ্যবিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স, যা সদ্যবিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ৫৭ কোটি ৮৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

 

হুন্ডি বেড়ে যাওয়ার কারণে শুধু যে রিজার্ভের পতন হচ্ছে বিষয়টি এমন নয়, ডলার সংকটে ব্যাংকগুলো এলসি খুলতে পারছে না। বকেয়া আমদানির বিল পরিশোধ করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। এ প্রসঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান ও বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আগে বিদেশ থেকে আসার পর অনেক ব্যক্তি আমাদের কাছে ডলার বিক্রি করতেন, বর্তমানে তারা আসেন না। এছাড়া রেমিট্যান্স আগের চেয়ে কমেছে। ফলে আগের চেয়ে ব্যাংকে অনেক কম ডলার আসছে। চাহিদা বাড়তে থাকলেও, ব্যাংকের কাছে ডলারের যোগান বাড়েনি। তাই ব্যাংকের পক্ষেও গ্রাহকের চাহিদামতো ডলার সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।’

 

উল্লেখ্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্বাভাবিক রাখতে সরকার আমদানি নিয়ন্ত্রণ করছে। এতে আমদানির দায় হিসেবে ডলার সাশ্রয় হলেও বাস্তবে ডলারের মজুদ বাড়ছে না। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৪৩২ কোটি ডলারের ঋণপত্র খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। গত বছরের একই মাসে ঋণপত্র খোলা হয়েছিল ৬৩৫ কোটি ডলারের। সে হিসাবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় গত জুলাইয়ে ঋণপত্র খোলা কমেছে ৩১ দশমিক ১৯ শতাংশ।

 

এদিকে ব্যাংক ও অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জগুলো থেকেও নগদ ডলার সংগ্রহ করা দিনকে দিন আরও কঠিন হয়ে পড়ছে। সামপ্রতিক সময়ে খোলা মুদ্রাবাজার বা কার্ব মার্কেটে প্রতি ডলার নজিরবিহীনভাবে বেড়ে ১২০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। এই দাম দেয়া— অনেকেরই ডলার কেনা অসাধ্য হয়ে পড়েছে। নগদ ডলারের দাম কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টার ফলে মানি এক্সচেঞ্জগুলোয় ডলারের আনুষ্ঠানিক লেনদেনও প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে ডলার চাহিদার এই চাপ এসে পড়ছে ক্রেডিট কার্ডের বাজারে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, কার্ডের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ দিন দিন বেড়েই চলেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশিরা বিদেশে গিয়ে কার্ড ব্যবহার করে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন করেছেন ৬ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ। এর আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে তা ছিল ২ হাজার ৯৪৪ কোটি টাকার সমপরিমাণ।

 

অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিদেশে গিয়ে কার্ডে বৈদেশিক মুদ্রার খরচের প্রবণতা বেড়েছে ১২৭ শতাংশ, যা পরিমাণে ৩ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। এই সময়ে শুধু লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে, তা-ই নয়। বেড়েছে লেনদেনের সংখ্যাও। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট লেনদেন হয়েছে ৯২ লাখ ৩৭ হাজার। এর আগের অর্থবছরে লেনদেনের সংখ্যা ছিল ৫৬ লাখ ৯০ হাজার। অর্থাৎ এক বছরে লেনদেনের সংখ্যা বেড়েছে ৩৫ লাখ ৪৭ হাজার। বিদেশে গিয়ে একজন বাংলাদেশি সাধারণত এক বছরে ১২ হাজার ডলার বা এর সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে পারেন। নগদ বৈদেশিক মুদ্রা কিংবা কার্ড ব্যবহার করে এই পরিমাণ অর্থ খরচের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান: জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) খোলাবাজারে নগদ ডলারের দাম কমাতে গত ৩০ আগস্ট এক যৌথ অভিযান শুরু করে। এদিনে অভিযানে এক লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার, ৩০ হাজার কানাডীয় ডলার ও ৩৮ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে হুন্ডি ব্যবসায় জড়িত কয়েকজনকে। একইদিন বিশেষ পরিদর্শন শেষে আটটি মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আরও ১০ প্রতিষ্ঠানকে ডলার বাণিজ্যে অনিয়মের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্ধারিত দরের চেয়ে তারা বেশি দামে ডলার বিক্রি করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে, এমনকি নিয়মিত তথ্য প্রদানও করেনি।

 

আরও দেখুন:

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

প্রবাসী
বাংলাদেশ

প্রবাসীর শিশু সন্তানের প্রান কেঁড়ে নিলো সেপটি ট্যাংক

November 28
রেমিট্যান্স
প্রবাস

দেশের ৩৯ লাখ পরিবারে আসছে রেমিট্যান্স

November 28
দক্ষিণ কোরিয়া
এশিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ায় রেকর্ড সংখ্যক কর্মী নেয়ার ঘোষণা

November 28

আপনার মন্তব্য:

  • সর্বাধিক পঠিত
  • মন্তব্য
  • সর্বশেষ
ভিসা বাতিল

প্রবাসীরা ছুটিতে দেশে আসলেই ভিসা বাতিল

November 21, 2023
ভিসা কুয়েত ওমান

যে কারণে বাংলাদেশিদের ভিসা স্থগিত করল ওমান

November 1, 2023
পদ্মাসেতু দিয়ে ওমান মোটরসাইকেল চলাচলের সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশিদের জন্য সকল ভিসা বন্ধ করলো ওমান

October 31, 2023
ওমান ভিসা

বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ করার কারণ জানাল ওমান দূতাবাস

November 2, 2023
ওমান ভিসা

যে তারিখ পর্যন্ত ভিসা পাওয়াদের ওমান যেতে বাধা নেই

November 2, 2023
ওমান

ওমান প্রবাসীদের জন্য দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তি

November 21, 2023
সকল প্রবাসীদের জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দূতাবাসের

সকল প্রবাসীদের জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দূতাবাসের

November 24, 2023
ওমানে স্থানীয় নাগরিককে হত্যা, অভিযুক্ত ৩ প্রবাসী গ্রেপ্তার

ওমানে স্থানীয় নাগরিককে হত্যা, অভিযুক্ত ৩ প্রবাসী গ্রেপ্তার

November 13, 2023
প্রবাসী

প্রবাসীর শিশু সন্তানের প্রান কেঁড়ে নিলো সেপটি ট্যাংক

November 28, 2023
রেমিট্যান্স

দেশের ৩৯ লাখ পরিবারে আসছে রেমিট্যান্স

November 28, 2023
দক্ষিণ কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ায় রেকর্ড সংখ্যক কর্মী নেয়ার ঘোষণা

November 28, 2023
প্রবাসী

পর্তুগালে কাজ ও আবাসন সংকট, স্ট্রোকে বহু প্রবাসীর মৃত্যু

November 28, 2023
গৃহকর্মী

প্রবাসী গৃহকর্মী নিয়োগে নতুন নিয়ম চালু করলো সৌদি

November 28, 2023
প্রবাসী

লিবিয়ায় মানবিক সংকটে প্রবাসীরা, দেশে ফেরত ১৪৩ বাংলাদেশি

November 28, 2023
ওমান

ওমানে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে নারীসহ ১৩ প্রবাসী গ্রেপ্তার

November 28, 2023
হাসপাতাল

বিয়ের পরদিনই হাসপাতালে স্ত্রী

November 28, 2023

Office: O.C. Centre, 1st Floor, Oman Commercial Center, Ruwi 131, Muscat, Oman.

For News: +8801823 384258

Email: news@probashtime.com

About

  • About Us
  • Contact Us
  • Privacy Policy
  • Terms and Conditions
  • Cookie Policy
  • Cookie Preferences
  • বিজ্ঞাপন
  • আমাদের পরিবার

Follow Probash Time:

Facebook Twitter Youtube Telegram Instagram
No Result
View All Result

ও.সি. সেন্টার, ২য় তলা, ওমান কমার্সিয়াল সেন্টার, রুই ১৩১, মাস্কাট, ওমান।

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: মোবাইল: +৮৮০১৭৯৭ ৫৭৭ ৫৩৩,
ই-মেইল: probashtimenews@gmail.com
বিজ্ঞাপন বিভাগ: মোবাইল: +৮৮ ০১৮২৩ ৩৮৪২৫৮

Probash Time android
  • About
  • Advertise
  • Careers
  • Contact

কপিরাইট © ২০১৯ - ২০২৩ : প্রবাস টাইম - Probash Time: Voice of Migrants.

No Result
View All Result
  • প্রবাস
  • ইউরোপ
  • এশিয়া
  • আমেরিকা
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • ওমান
  • সৌদি আরব
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • প্রযুক্তি
  • অন্যান্য
    • সামাজিক
    • কৃষি
    • স্বাস্থ্য
    • খেলাধুলা
    • খোলা কলম
    • চাকরি
    • জানা অজানা
    • জীবনের গল্প
    • ধর্ম
    • বাণিজ্য
    • বিনোদন
    • মতামত
    • ইউনিকোড টু বিজয় কনভার্টার
This website uses cookies. By continuing to use this website you are giving consent to cookies being used. Visit our Privacy and Cookie Policy.