হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমদানি নিষিদ্ধ ৩১টি বিরল পাখি জব্দ করেছে ঢাকা কাস্টম হাউসের এয়ারফ্রেইট ইউনিট। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দিশা ফারহানা জামান।
গত ৩০ আগস্ট ‘কাশভি এন্টারপ্রাইজ’ সাইপ্রাস থেকে ১৬টি বক্সে ৩৬টি জীবন্ত পাখি আমদানি করে। এয়ারফ্রেইট ইউনিটের ডেপুটি কমিশনার এস এম কবিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ডেপুটি কমিশনার সমরজিত দাস, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রায়হানুর রাকিব, জেনী চাকমা ও প্রিভেনটিভ ইউনিটের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সামসাদ হোসেন ও মো রফিকুল ইসলাম প্রাথমিকভাবে অবৈধ পাখিগুলো চিহ্নিত করেন বলে জানা গেছে।
দিশা ফারহানা জানান, ৩১ আগস্ট বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা চালানটি পরীক্ষা আমদানি করা জীবন্ত পাখিগুলোর এনওসি মোতাবেক সঠিক রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এরপর পাখির সঠিক প্রজাতি সম্পর্কে নিশ্চিতের জন্য এয়ারফ্রেইট ইউনিটের কর্মকর্তা, প্রিভেনটিভ ইউনিটের কর্মকর্তা, বন বিভাগের কর্মকর্তা, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা এবং বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর পাখিগুলোর যৌথ কায়িক পরীক্ষা করা হয়।
পরীক্ষায় ৩৬টি পাখির মধ্যে ২৬টি বিরল প্রজাতির ম্যাকাও ও ৫টি গোল্ডেন প্যারাকেটসহ মোট ৩১টি আমদানি নিষিদ্ধ পাখি চিহ্নিত করা হয়। আরও জানা যায়, পাখিগুলো জব্দের পর গত ২ সেপ্টেম্বর আমদানিকারকের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকা কাস্টম কর্তৃপক্ষ। এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর এক বিচারাদেশের মাধ্যমে আমদানিকারককে ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব, অর্থদণ্ড এবং বিমোচন জরিমানা বাবদ ২ কোটি ৬২ লাখ ৩৩ হাজার ৪০৮ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে আমদানি নিষিদ্ধ ৩১টি বিরল পাখি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
আমদানি নিষিদ্ধ পাখিগুলো গত ৪ সেপ্টেম্বর এয়ারফ্রেইট ইউনিটের ডেপুটি কমিশনার এস এম কবিরুল ইসলাম জাতীয় চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা (পাখি শাখা) রফিকুল হাসানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post