ওমানে করোনাভাইরাসের কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর অবস্থানে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যেই কোভিড-১৯ চিকিৎসায় আরো ১৮৭ টি ইন্টেন্সিভ কেয়ার বা নিবিড় পরিচর্যা বেডের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশে সংক্রমণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আরো ইন্টেন্সিভ কেয়ারের দরকার। রোগির দেখাশোনা করার জন্য এখন পর্যন্ত আমাদের যে ব্যবস্থা রয়েছে তা পর্যাপ্ত, তবে সংক্রামণ রোধে আমরা আরো সর্তক থাকতে চাই। যেনো দেশ অতিদ্রুত এই ভাইরাস থেকে মুক্ত হতে পারে। দেশটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সচিব ডা. মোহাম্মদ বিন সাইফ আল হোসনি বলেন, আমাদের কাজে সাহায্য করেন। তাহলে আমরা অতিদ্রুত এই ভাইরাসের মোকাবেলা করতে পারবো।
ডা. মোহাম্মদ বিন সাইফ আল হোসনি আরও বলেন, “দেশটির করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সূচকগুলো দেখে মনে হয় আমরা হয়তো খুব শীঘ্রই বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছে যাবো। আর তখন আমাদের কাছে প্রতিদিন এক হাজার ৮০০ রোগির করোনা রেকর্ড হওয়ার আশংকা করছি। প্রতিদিন আমাদের প্রায় ৫০০ টি বেডের প্রয়োজন যেখানে রোগিদের পরিচর্যা করা যাবে। এবং প্রায় ১৮৪ টি নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের প্রয়োজন। দেশটিতে আক্রান্তের পর থেকে একক ব্যক্তির দ্বারা সংক্রমণের হার এখনও ১.২ থেকে ১.৪ এর মধ্যে রয়েছে। যার অর্থ হলো ১০ জন সংক্রমণ থেকে প্রায় ১২ থেকে ১৪ জন সংক্রমিত হতে পারে।
ওমানে কোভিড-১৯ সংক্রামণের মাত্রা বর্ণনা করতে গিয়ে মোহাম্মদ বিন সাইফ আল হোসনি বলেন, “আমাদের দেশে অনেক রোগি করোনায় সংক্রমিত হয়েছে যাদের করোনার কোনো উপসর্গ ছিলো না। যেটা আমাদের সবচেয়ে ভয়ের বিষয়। তবে আশার কথা হলো দেশের সাধারণ জনগণ সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলায় আমাদের দেশে সংক্রামণের হার কিছুটা কম। আমাদের আক্রান্তের সূচক উচ্চ রেখায় পৌঁছানের কথা ছিলো চলতি মাসের শেষের দিকে, কিন্তু তা এখনো পৌঁছায়নি। এতে বলা যায় আমার এখনো ভালো পর্যায়ে আছি।
দেশের সরকারী যোগাযোগ কেন্দ্র (জিসিসি) এক বিবৃতির অংশ হিসাবে ওমানে এখনও বিপুল সংখ্যক সংক্রমণ সংঘটিত হয়নি, যদি ভবিষ্যত সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলি বজায় রাখা যায় তাহলে আশা করা যায় অতিদ্রুত আমরা এই ভাইরাস মোকাবেলায় জয়ী হবো।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post