প্রায়ই দেখা যায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ থেকে আসা প্রবাসীদের কাছ থেকে স্বর্ণের বার বা সোনা উদ্ধারের খবর। স্বর্ণ পাচারকারীরা প্রবাসীদের ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। সোনা পাচারকারীদের সাথে যে শুধু প্রবাসীরাই যুক্ত থাকেন তা কিন্তু নয়। এর সাথে বিভিন্ন বিমানের কর্মচারীরাও যুক্ত থাকেন। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দরে। বিপুল পরিমাণ অবৈধ স্বর্ণসহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু জিয়াউলকে আটক করা হয়েছে। জেদ্দা বিমানবন্দরের কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে আটক করে।
রোববার ভোরের দিকে তাকে আটক করা হয়। তবে তার কাছে কী পরিমাণ স্বর্ণ ছিল তা বিমানকে জানায়নি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এর আগেও জেদ্দা বিমানবন্দরে সোনা ও বিপুল পরিমাণ মুদ্রাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়ে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন রুহুল আমিন শুভ নামে বিমানের এক কেবিন ক্রু। শনিবার মধ্যরাতের জেদ্দা থেকে ঢাকা রুটের বিজি-১৩৬ নম্বর ফ্লাইটের ক্রু ছিলেন জিয়াউল। বোর্ডিংয়ের আগে সিকিউরিটি চেকিংয়ের সময় তার ব্যাগে সোনাসহ সন্দেহজনক কিছুর উপস্থিতি টের পান নিরাপত্তারক্ষীরা। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। জিয়াউলের জন্য প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফ্লাইটটি। কিন্তু পরে তাকে রেখেই একজন ক্রু কম নিয়েই রওনা হয় ফ্লাইটটি।
আরও পড়ুন- দরজার কবজায় স্বর্ণ এনে আটক হলেন দুবাই ফেরত যাত্রী
বিমানের ওই ফ্লাইটে ৪১৭ যাত্রী ছিলেন। ফ্লাইটের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন খাজা। মোট ১০ ক্রু থাকার কথা ছিল ফ্লাইটে। তবে একজন ক্রু কম থাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সৌদি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এ কারণে তারা ফ্লাইটটি ছাড়ার অনুমতি দিচ্ছিল না। পরে ওই ফ্লাইটে থাকা বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের একজন যাত্রীদের দায়িত্ব নিয়ে ৯ জন ক্রু নিয়ে ফ্লাইট ছাড়ার অনুমতি নেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post