নিজ পুত্রবধূর লাশ সরকারি হাসপাতালে রেখে পালিয়েছেন শাশুড়ি। গত মঙ্গলবার দুপুরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার কুলসুমা (২৬) কচুয়া উপজেলার সৈয়দপুর মাঝিগাছা গ্রামের শাহজান মিয়ার কন্যা।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ তার শাশুড়ি নিজ পুত্রবধূকে টাকার দেয়ার কথা বলে বাড়িতে নিয়ে মুখে বিষ জাতীয় ট্যাবলেট খাইয়ে দিয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন। এবং তাকে হাসপাতালে আনার পর মৃত্যুর খবর শুনে তিনি হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে যান।
নিহতের মাতা ও বোনসহ অন্যান্য স্বজনরা জানান, প্রায় ৮/৯ বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক করে কুলসুমা বেগম স্বামী রবিউল আউয়ালকে বিয়ে করেন। কিন্তু তাদের এ বিয়ে রবিউলের পরিবার মেনে না নেওয়ায় তারা বিভিন্ন জায়গায় ভাড়ায় থাকতেন। বিয়ের কয়েক বছর পূর্বে কুলসুমার মাতা সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে তার জামাতাকে বিদেশে পাঠান। বর্তমানেও তার জামাতা প্রবাসে রয়েছেন।
তারা জানান, ঘটনার দিন সকালে কুলসুমার শাশুড়ি পারিবারিক বিষয়ে টাকা দিবে বলে একই উপজেলার নুলুয়া গ্রামে তাদের বাড়িতে খবর দিয়ে নেন। সেখানে শাশুড়ি পুত্রবধূর সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে তাকে বিষ খেয়ে মরে যাওয়ার কথা বলেন।
কুলসুমার ৬ বছর বয়সী শিশু সন্তান জানান, তার দাদি তার মায়ের মুখে ট্যাবলেট ঢুকিয়ে পানি পান করিয়ে দেন। তারপর সে মৃত্যুর যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকলে শ্বাশুড়ি তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে এই খবর পেয়ে নিহতের শাশুড়ি হাসপাতালে লাশ ফেলে পালিয়ে যান।
হাসপাতাল প্রতিপক্ষ বিষয়টি চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশকে অবগত করলে, থানার এস আই মো. কবির হোসেন হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরুতহাল তৈরি করে থানায় নিয়ে যান।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই মোঃ কবির হোসেন জানান, সরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর পেয়ে থানার নির্দেশে হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করি। এবং মৃত্যুর সঠিক কারন নির্ণয় করার জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post