শিগগিরই জনশক্তি সহযোগিতা সংক্রান্ত যৌথ কারিগরি কমিটির সভা আয়োজনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও ওমান। একইসঙ্গে দুই দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংস্থাগুলোর মধ্যে একটি যৌথ ব্যবসা চেম্বার স্থাপনে জোর দিয়েছে উভয়পক্ষ। রোববার (২৮ মে) মাস্কাটে বাংলাদেশ-ওমানের তৃতীয় যৌথ পরামর্শক সভায় এসব বিষয়ে সম্মত হয় উভয়পক্ষ।দুই দেশের সামগ্রিক বিষয়ে হওয়া সভায় ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং মাস্কাটের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি শেখ খলিফা বিন আলহার্থি।
সভায় রাজনৈতিক সফর বিনিময়, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বিষয়, কনস্যুলার সমস্যা এবং জনশক্তি, জ্বালানি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।উভয়পক্ষ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গভীর সম্পৃক্ততার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়। এক্ষেত্রে বন্দর-টু-বন্দর সংযোগে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া দুই দেশের বিদ্যমান সম্পর্ককে উন্নত ও সুসংহত করতে ক্লিন এনার্জি, সরাসরি শিপিং, স্বাস্থ্যসেবায় পেশাদার নিয়োগ, তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে।
সভায় আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম এবং সমসাময়িক বৈশ্বিক ইস্যুতে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়। পরবর্তী তথা চতুর্থ সভা ঢাকায় করার সিদ্ধান্ত হয়।এ সময় ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. শফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।এফওসি ছাড়াও একই দিনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব ওমানের বাণিজ্য, শিল্প ও বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি সালেহ বিন সাইদ সালেম মাসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পররাষ্ট্রসচিব ওমান থেকে বাংলাদেশে আরও বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। মাসুদ বিন মোমেন আন্ডার সেক্রেটারিকে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এছাড়া পররাষ্ট্রসচিব ওমানের শ্রম মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি নাসর বিন আমের আল হোসনির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। উভয়পক্ষ শিগগিরই জনশক্তি সংক্রান্ত যৌথ কমিশনের পরবর্তী বৈঠকে বসার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post