ওমানের রাজধানী মাস্কাটে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। তাই ডেঙ্গু জ্বর (ডিএফ) নিয়ে একটি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওমান অবজারভারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রুই, হামরিয়া এবং দারসাইটে বেশি সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী রেকর্ড করা হয়েছে।
গত ছয় সপ্তাহ ধরে শ্রমিকরা অবস্থান করেন এমন জায়গা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে। রয়্যাল হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনফেকশাস ডিজিজ কনসালটেন্ট ডাঃ হিলাল আল হাশামি বলেন, ডেঙ্গু জ্বর হল সবচেয়ে ব্যাপক মশাবাহিত ভাইরাল সংক্রমণের একটি। ডেঙ্গু জ্বর (ডিএফ) বেশিরভাগ রোগীর একটি স্ব- সীমাবদ্ধ অসুস্থতা, কিন্তু কিছু রোগীর ডেঙ্গুজ্বর হতে পারে, যা গুরুতর এবং একটি প্রাণঘাতী হতে পারে।
মাস্কাটের অ্যাপোলো হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ সতীশ বাবু জানান, আমাদের এখানে এমন অনেক রোগী ছিলো যাদের প্লাটিলেট কমে গিয়েছিলো। এদের মধ্যথেকে অনেককে আইসিইউতে পর্যন্ত নিতে হয়েছে। সম্প্রতি মাস্কাটের আশেপাশে থেকে বেশি কেস লক্ষ করছি। এসব নিয়ে আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।
চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গু জ্বর একটি মশাবাহিত ভাইরাল সংক্রমণ। এইসব মশা ভোরবেলা এবং মাঝ রাতের পর কামড়ায়। এক কামড়েই সংক্রমণ হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের সঠিক চিকিৎসা না করালে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। তাই, গোড়াতেই রোগ নির্ণয় করতে এর উপসর্গ জানা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত আক্রান্তদের যেসব উপসর্গ দেখা যায়, তার মধ্যে রয়েছে:
১, প্রচন্ড জ্বর
২, মাথা ব্যথা
৩, বমি করা
৪, পেশী ও গেঁটে ব্যথা
৫, ত্বকে ফুসকুড়ি
৬, দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া।
৭, প্লাটিলেট কমে যাওয়া।
এইসব উপসর্গ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ভুলেও ওষুধ সেবন করা যাবেনা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post