ইতালিতে যাওয়ার কথা বলে সুমন আলী (২৬) নামের এক যুবককে নিয়ে গেলেন চট্টগ্রামে। সেখান থেকে তাকে অপহরণ করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বড় ভাই সুজন আলী বাদী হয়ে রোববার বাঘা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সুমন আলী বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা ঠাকুরপাড়া গ্রামের আকাল আলীর ছেলে।
জানা যায়, উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা ঠাকুরপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী ওয়াহিদ আলীর মাধ্যমে জনৈক আবদুর রহিম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে সুমন আলীর পরিচয় হয়। তারপর তিনি ইতালিতে পাঠানোর জন্য আগ্রহী করে তুলেন। প্রায় তিন মাস আগে ইতালিতে যাওয়ার জন্য আবদুর রহিমের সঙ্গে সাত লাখ ৫০ হাজার টাকায় চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করেন। সেই মোতাবেক তার শনিবার ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল।
এ বিষয়ে সুমন আলীর বড় ভাই সুজন আলী বলেন, ইতালি যাবে মর্মে আমার ছোট ভাইকে ঢাকা বিমানবন্দর পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে এগিয়ে দেওয়া হয়। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে উঠে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তাকে বলা হয় ইতালিতে পৌঁছে গেছি।
আমার ধারণা তাকে বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রামের কোনো পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে আমার কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। এ টাকা না দিলে সুমনের ক্ষতি হবে। সুমন কি অবস্থায় আছে জানি না। তারপর থেকে আমার বাবা মা তার চিন্তায় খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। তবে সুমনের ফোন থেকে বারবার টাকা চাওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে আকাল আলী বলেন, ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য ধারদেনা করে টাকা দিয়েছিলাম। এখন একূলও গেল ওকূলও গেল। বাঘা থানার ওসি খায়রুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে। তাকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন থানায় ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের একটি টিম ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post