‘এবারের ঈদে বিকাশের পক্ষথেকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে, আপনার উপহার পেতে লিংকে ক্লিক করুন এবং পরিচিত দশ জনের কাছে শেয়ার করুন’ বন্ধু, পরিচিত কিংবা অপরিচিত কারও কাছ থেকে ইনবক্সে এমন মেসেজ পেয়েছেন?
তবে সাবধান। ভুলেও এমন মেসেজের কোন লিংকে ক্লিক করবেন না। এটা আসলে হ্যাকারদের ফিশিং ফাঁদ। যেখানে এক ক্লিকেই আপনার সকল ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্ত চলে যেতে পারে হ্যাকারের কাছে। হতে পারে বিপদ।
প্রযুক্তি দিনে দিনে যত উন্নতি করছে, ততই বাড়ছে ইন্টারনেট জগতে অপরাধের সংখ্যা। ঠিক এরকম এক অপরাধ মাথা চাড়া দিয়েছে এই যুগে, নাম সাইবার ক্রাইম।
যে ক্রাইমগুলো সংগঠিত হয়ে থাকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। কিছু অসাধু চক্র মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে ঘটাচ্ছে নানা ঘটনা। কেবল একটা ম্যাসেজের মধ্যে দিয়ে করছে বড় বড় অপরাধ। হাতিয়ে নিচ্ছে শতকোটি টাকা।
একবার আপনার ফোনের কিংবা কম্পিউটারের সকল উপাত্ত তাদের হাতে চলে গেলে ঘটে ব্ল্যাকমেইলের মতো ঘটনা। শুরু হয় টাকা চাওয়ার শেষ না হওয়ার এক ম্যারাথনের। মোবাইলের ম্যাসেজ অপশন ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে, কিংবা ইমেইলের মাধ্যমে পাঠানো হয় এই ধরনের স্প্যাম লিংক।
বিভিন্ন লটারির পুরষ্কার কিংবা নামীদামী কোম্পানির অফারের নামে ফিশিং লিংক পাঠানো হয়। তাদের এমন ফাঁদে না বুঝে মুহূর্তেই পা দেন অনেকেই। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইসব লিংকে ক্লিক করলেই আইডি-পাসওয়ার্ডসহ অন্যান্য সকল তথ্য মুহূর্তেই চলে যেতে পারে হ্যাকারদের কাছে। এতে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি সহ খোয়াতে পারেন ব্যাংকে জমানো টাকা।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত ঈদ এবং বিভিন্ন উৎসবের পূর্ব মুহূর্তে সাইবার অপরাধীরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। আর তাই লোভনীয় কোন পুরস্কার দেবার কথা বলে মোবাইলে মোবাইলে ফিশিং লিঙ্ক ছড়ানো হয়।
কৌতুহলবশত এমন লিঙ্কে ক্লিক করলেই ঘটতে পারে নানা রকম বিপত্তি। প্রবাসীদের এসব সাইবার অপরাধীদের থেকে নিজেকে রক্ষা করতে অপরিচিত কোনো লিংকে ক্লিক না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে ডিজিটাল প্রতারণা। বিশেষ করে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্নভাবে প্রতারিত হচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যবহারে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।
সাম্প্রতিক প্রতারণার অধিকাংশই প্রযুক্তিনির্ভর। ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মোবাইল ফোনে প্রতারকরা নানা কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অর্থ। এতে নিঃস্ব হচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। কখনও ব্যাংকের ডাটা আপডেট করতে কল আসছে।
কখনও আবার বড় অঙ্কের লটারির প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে ব্যক্তিগত তথ্য। এসব প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি।
বিশেষকরে ঈদের পূর্বে বিভিন্ন উপহার জেতার প্রলোভন দিয়ে ফিশিং লিংক ছড়ানো হয়, যেসব লিংকে ক্লিক করে সাইবার আক্রমণের শিকার হন প্রবাসীরা। এক্ষেত্রে অনেক সচেতন মানুষও বিভ্রান্তিতে পড়েন। অনেক সচেতন মানুষও এসব লিংকে ক্লিক করে তাদের মোবাইলের গোপনীয়তা হারিয়েছেন।
দেশে থাকা পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকেন স্যোশাল মিডিয়া অ্যাপ ইমো। আর এই ইমো অ্যাপ হ্যাক করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত ঈদ এবং বিভিন্ন উৎসবের পূর্ব মুহূর্তে সাইবার অপরাধীরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠে।
আর তাই লোভনীয় কোন পুরস্কার দেবার কথা বলে মোবাইলে মোবাইলে ফিশিং লিঙ্ক ছড়ানো হয়। কৌতুহলবশত এমন লিঙ্কে ক্লিক করলেই ঘটতে পারে নানা রকম বিপত্তি। প্রবাসীদের এসব সাইবার অপরাধীদের থেকে নিজেকে রক্ষা করতে অপরিচিত কোনো লিংকে ক্লিক না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post