দীর্ঘ সাত বছর পর বৈরিতা ভুলে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে সৌদি আরব। এবার ইরানের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে মনোযোগী হয়েছে দেশটি। এর ফলে দীর্ঘদিন প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের মধ্যে আবার বাণিজ্য এবং নিরাপত্তা সহযোগিতাও শুরু হবে। মধ্যপ্রাচ্যে সিরিয়া হচ্ছে তেহরানের দীর্ঘদিনের মিত্র এবং সৌদি আরবের এই পদক্ষেপের ফলে দামেস্ক ফের আরব-ব্লকে প্রত্যাবর্তন করতে পারে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক দশকেরও বেশি আগে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এখন সিরিয়া ও সৌদি আরব আবারও তাদের দূতাবাস পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন তিনটি সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া দামেস্কের সঙ্গে সংযুক্ত একটি আঞ্চলিক সূত্র জানিয়েছে, সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রধান মিত্র ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সাম্প্রতিক যুগান্তকারী এক চুক্তির পর রিয়াদ ও দামেস্কের মধ্যে যোগাযোগে ব্যাপক গতি পেয়েছে।
গত প্রায় এক দশক ধরে সিরিয়ার সঙ্গে সৌদি আরবের কূটনৈতিক চ্যানেলে যোগাযোগ বন্ধ ছিল। দুই দেশ আবারও তাদের বন্ধ দূতাবাস খোলার ঘোষণা দিয়েছে। চীনের মধ্যস্থতায় হঠাৎ করেই পাল্টে গেল মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতি। নিজেদের মধ্যকার বৈরিতা ভুলে আবারও একসঙ্গে পথচলার ইচ্ছা প্রকাশ করছে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ। সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল-আখবরিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, খুব শিগগির আমরা সিরিয়ায় আমাদের দূতাবাস চালু করছি। সিরিয়াও রিয়াদে তাদের দূতাবাস চালু করতে যাচ্ছে।
সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যে সাম্প্রতিক চুক্তিটি পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা, শান্তি, আঞ্চলিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post