প্রায় সাত বছর স্থগিত থাকার পর কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সম্মত হয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। চীনের মধ্যস্থতায় কয়েকদিনের আলাপ-আলোচনার পর অবশেষে দূতাবাস খুলতে সম্মত হয় দুই দেশ। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে মধ্যপ্রাচ্যের দুই তেলসমৃদ্ধ ও মুসলিম অধ্যুষিত দেশের এই মিলন বিশ্বব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যে এ বিষয়ে তাদের মতামত জানিয়েছে।
বর্তমান অস্থিতিশীল বিশ্বে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে একটি ‘বড় খবর’ বলে অভিহিত করেছে চীন। শান্তি ও সংলাপের জন্য এটি একটি ‘জয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই। এছাড়াও রিয়াদ ও তেহরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রবর্তনের যৌথ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে ওমান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটা প্রত্যেকের জন্য একটি জয়। এই পদক্ষেপ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তাকে উপকৃত করবে বলে মনে করে ওমান।
একইসাথে সৌদি ইরান সম্পর্ককে স্বাগত জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন, তুরস্ক, মিশর, ইরাক, লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুথি আন্দোলনের প্রধান আলোচক মোহাম্মদ আবদুলসালাম জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক দরকার। বিদেশি হস্তক্ষেপের কারণে হারানো নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করতে এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রয়োজন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post