মালয়েশিয়ায় মহামারী করোনায় দিনদিন কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ১০ এর নিচে নেমে না আসা পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেবে না মালয়েশিয়া সরকার এমন সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। আর তাই ফের ১২ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে মুভমেন্ট কন্ট্রোল ওয়ার্ডার। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই কমতে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই ভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বকে চমকে দিয়েছে এশিয়ার এই দেশটি।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৮২০ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ হাজার ৯৫৭ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৯৯ জন। চলাচলে নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষিত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে শুরু করেছেন নাগরিকরা। এছাড়া শর্তসাপেক্ষে চালু করা হয়েছে বিভিন্ন কলকারখানা।
পরিস্থিতির আরও উন্নতি হলেই খুলে যাবে সব। ইতোমধ্যেই সরকারের পাশাপাশি দেশটির বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তি উদ্যোগে নাগরিকদের খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছে। সংকটকালে করোনা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের তিনজন ডাক্তারের মধ্যে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ডা. নূর হিশাম আব্দুল্লাহ রয়েছেন ৩য় স্থানে। প্রতিদিন মিডিয়ার সামনে সচেতনতামূলক পরামর্শ দিয়ে ও কোভিড নিয়ন্ত্রণে রাখায় জাতীয় হিরো হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি।
দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নিরলস চেষ্টাসহ খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও বাংলাদেশি জনহিতৈষীরা। তবে মিশনের এ সহায়তা কেউ পাচ্ছেন আবার কেউ পাচ্ছেন না এমন অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ওমানে করোনার ব্যাপক পরিবর্তন, শিথিল হচ্ছে লকডাউন
দূতাবাসের সহায়তা নির্দিষ্ট একটি আবেদনের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে এমনটি জানালেন সংশ্লিষ্টরা। মালয়েশিয়া বাংলাদেশ হাইকমিশনের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ সহায়তা পেয়েও অনেকেই ঝাড়ছেন দূতাবাস তথা সরকারকে। সহায়তা পাওয়া অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন।
রাজধানী কুয়ালালামপুর শহর ও সেলাঙ্গুরে মুভমেন্ট কন্ট্রোল কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসীদের ফোন করে দূতাবাসের খাদ্য সহায়তা কাজে নিয়োজিত মালয়েশিয়ার এমটি ইউসির ভলান্টিয়াররা ফোন করে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্য। রাজধানী শহরে যারা বাস করছেন তারা কোনো না কোনোভাবে সহায়তা পাচ্ছেন। এ সহায়তা অস্বীকারের কোনো সুযোগ নেই। এমনটি ধারণা সহায়তা প্রদানকারী অনেকেরই।
তবে রাজধানী শহর ছাড়া, মালাক্কা, জহুরবারু, পেনাং, তেরেঙ্গানু, কোয়ান্তান, ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের পাহাড় জঙ্গলে অনেক প্রবাসী রয়েছে। যারা নিজের নাম দস্তখত ও দিতে জানে না, ফোন করতে হলে অন্যের সহায়তা নিতে হয়, এমনকি দেশে টাকা পাঠাতেও সহযোগিতা নিতে হয় অন্যের। ওই সংখ্যাটা শুধু বুঝে কাজ আর মাস শেষে বাড়িতে টাকা পাঠানো। ওদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ওরা না খেয়ে কোথায় কোথায় পড়ে রয়েছে তাদের খুঁজে বের করে সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছেন সচেতন প্রবাসীরা।
এদিকে দূতাবাস জানিয়েছেন, তারা এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজারেরও অধিক বাংলাদেশি নাগরিকদের খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে। আর এ সহায়তা চলমান রয়েছে। একইভাবে অন্যদের নিকট পর্যায়ক্রমে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানালেন দূতাবাসের সংশ্লিষ্টরা।
https://www.youtube.com/watch?v=H320x19a9VA&t=219s
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post