বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ওমানের রাষ্ট্রীয় প্রতীক খঞ্জর। গত ২৮ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মরক্কো আয়োজিত ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজের সুরক্ষার জন্য আস্তঃসরকারি কমিটির সপ্তদশ অধিবেশনে ওমানি খঞ্জরকে ইউনেস্কোর অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার ওমান অবজারভারের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
খঞ্জর ওমানে প্রথম তৈরি হওয়া একধরনের ঐতিহ্যবাহী চাকু। এটি দেখতে অনেকটা ইংরেজি অক্ষর ‘J’-এর মত বক্রাকৃতির তলোয়ার। ওমানি পুরুষরা বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে পোশাকের সঙ্গে পড়ে থাকে। মানের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন উপাদান দিয়ে এটি তৈরি করা হয়। ওমানের বাজারগুলোতে এটি বিক্রি করা হয়ে থাকে এবং ভ্রমণের স্মারকচিহ্ন হিসেবে পর্যটকদের মধ্যে এটি জনপ্রিয়। সালতানাতের ঐতিহ্যের প্রতীক খঞ্জর ওমানের জাতীয় প্রতীক।
খঞ্জর রাষ্ট্রীয় প্রতীকের একটি অংশ এবং অনেক ওমানি রীতিনীতি এবং ঐতিহ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঐতিহাসিক সূত্র এবং প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলো ইঙ্গিত দেয় যে ওমানিরা শত শত বছর ধরে খঞ্জর পরিধান করে আসছে। ওমানি সাহিত্যের অনেক কবিতাও খঞ্জরকে বর্ণনা করে এবং তার প্রশংসা করে। খঞ্জর ওমানি লোকশিল্পেরও একটি অংশ। এটি দেশটির ঐতিহ্যের প্রতীক।
১৮শ শতাব্দী থেকে আল সাইদ রাজবংশের কালচিহ্ন হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় এটিকে ওমানের জাতীয় প্রতীকের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সালতানাত প্রবর্তিত ডাকটিকিটের পাশাপাশি এটিকে ওমানি রিয়াল বিশেষ করে এক ওমানি রিয়ালের নোটেও দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও সরকারী ভবন এবং বিভিন্ন ট্রাফিক চত্বরে খঞ্জরের প্রতিকৃতি দেখা যায়।
মরু এলাকায় তুষারপাত ঘটিয়ে তাক লাগিয়ে
বিকাশ-রকেটে সরাসরি রেমিট্যান্স আনতে বাংলাদেশ
ওমানের মাস্কাট বিমানবন্দরে গাঁজাসহ দুই প্রবাসী
বাড়ি লিখে না দেওয়ায় স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করল
খেলা নিয়ে তর্ক, আর্জেন্টিনার সমর্থককে খুন
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post