করোনার স্থবিরতা কাটিয়ে বিদেশে শ্রমিক যাওয়া বেড়েছে। নতুন করে শ্রমিক যাওয়ার দিক দিয়ে প্রথম স্থানে সৌদি আরব এবং দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওমানের নাম। অথচ এই দুটি দেশ থেকেই আশঙ্কাজনকহারে কমেছে রেমিট্যান্স। মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর থেকেও বৈধ পথে প্রবাসী আয় কমছে। হুন্ডি তৎপরতা বেশি এবং কাজ না থাকায় রেমিট্যান্সে এমন ধ্বস। এশিয়া বিশেষত মধ্যপ্রাচ্য থেকে রেমিট্যান্স কমলেও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে প্রবাসী আয় বেড়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বৈধ পথে এ পর্যন্ত দেশের বাইরে গেছেন ১ কোটি ৪৫ লাখ কর্মী। এর মধ্যে সৌদি আরবে গেছেন প্রায় ৩৬ শতাংশ। আর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮ লাখ ৭৫ হাজার কর্মী বাইরে গেছেন। এর মধ্যে ৫ লাখ ১৪ হাজার বা ৫৯ শতাংশই গেছেন সৌদি আরবে। শ্রমিক যাওয়া বাড়লেও দেশটি থেকে কমেছে রেমিট্যান্স।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মী যাচ্ছে ওমানে। চলতি বছর মোট শ্রমিকের ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ গেছে দেশটিতে। আগের বছর প্রায় ৯ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ছিল ১০ শতাংশের মতো। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের ১২ শতাংশের মতো থাকেন ওমানে। অথচ মোট রেমিট্যান্সে ধারাবাহিকভাবে অংশ কমে ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশে নেমেছে। করোনার মধ্যে ২০২০ সালে যেখানে মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৭ শতাংশ এসেছিল সে দেশ থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা ও কয়েকজন ব্যাংকারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বল্পশিক্ষিত, অদক্ষ এবং স্বল্পদক্ষ শ্রমিক যান। তাঁদের অনেকের মধ্যে ব্যাংকিংভীতি এবং ব্যাংকের তুলনায় বেশি টাকার প্রলোভনসহ নানা উপায়ে হুন্ডি কারবারিরা তাঁদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করে।
আরও পড়ুন:
সব আইন শুধু প্রবাসীদের জন্য!
মাস্কাটে ভারী বৃষ্টিপাতের পুর্বাভাষ, সবাইকে
জাতীয় দিবসের ছুটিতে ওমানে পর্যটকের আনাগোনা
টিভি, গাড়ি না কিনে টাকা জমানোর পরামর্শ
১৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৬ কোটি ডলার
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post