বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন এক সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে যাচ্ছে দুবাইয়ের সোনাপুর এলাকায়। ব্যবসায় লাভবান হওয়ায় অত্র অঞ্চলে দিনদিন বাড়ছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিনিয়োগ। সেইসাথে বাড়ছে বাংলাদেশী পণ্যের সমাহার। যেখানে আগে প্রবাসীরা শ্রমিক হিসেবে বসবাস করত সে এলাকায় অসংখ্য বাংলাদেশি এখন নিজেকে বিনিয়োগকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সফল ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া এলাকার সাদ্দাম হোসেন।
সমৃদ্ধ দুবাই প্রতিষ্ঠার পিছনে যে মানুষগুলোর অবদান সে মানুষগুলোর অধিকাংশই অবস্থান করে থাকেন দুবাইয়ের মোহাইছেনা এলাকায়। বাংলাদেশিরা এই এলাকার নাম দিয়েছেন সোনাপুর। কেননা এখানে রয়েছে প্রায় দশ লাখ শ্রমিকের আবাসস্থল (বা শ্রমিক ক্যাম্প)। তারমধ্যে প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক রয়েছে এ জায়গাটিতে। এই সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে কিছু বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। ফলে এই এলাকায় বাংলাদেশী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই এলাকায় সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান এখন চট্টগ্রামের সাদ্দাম হোসেনের চট্টগ্রাম সুপার মার্কেট।
এ এলাকায় শুধুমাত্র বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি পেয়েছে তা নয়, এসব প্রতিষ্ঠানে দেশিও পণ্যের সমাহার ও চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুণ। পাশাপাশি অসংখ্য বাংলাদেশীর কর্মসংস্থান হচ্ছে এখানে। দাঁতের কালো মাজন থেকে নিয়ে লুঙ্গি গেঞ্জি,গামছা, নানা প্রকার শাকসবজি, ভোজ্য পণ্য, মাছ মাংস পর্যন্ত এমন কোন পণ্য নেই যা এখানকার বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে ন। এখানে চারপাশ দেখলে মনেহয় এ জেন আরেক বাংলাদেশ। এসব পণ্যের জন্য দেশি-বিদেশি গ্রাহকদের ভিড়ও লক্ষ্য করা যায় এ এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
মোহাইছেনা এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতীয়দের আধিপত্য লক্ষণীয় ছিল। তবে, বর্তমানে বাংলাদেশীরা জায়গা করে নিয়েছে। শ্রমিকদের দাবি সঠিক পরিচর্যা পেলে এই এলাকা বাংলাদেশীদের বিজনেস হাব হিসেবে পরিণত হতে পারে।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ সহায়তা দিল ওমান
প্রবাসীদের জরিমানা বৃদ্ধি করে দ্বিগুণ করলো
ওমান সহ মধ্যপ্রাচ্যে রমজান শুরুর সম্ভাব্য তারিখ
সিআইপি নির্বাচিত হচ্ছেন ৬৭ প্রবাসী, সংখ্যায় দ্বিতীয়
ক্ষোভ আর অভিমানে হুন্ডিতে ঝুঁকছেন প্রবাসীরা
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post