শিল্প যুগে যুগে মানুষের মনকে করেছে মুগ্ধ, অভিভূত। সুলতান সুলেমানের শাসনামলে নির্মিত বিভিন্ন স্থাপনা বিশ্বের অন্যতম সেরা স্থাপত্য হিসেবে বিবেচিত। বলা চলে, তিনি মসজিদ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনার ডিজাইনে নতুনত্ব আনেন, সৃষ্টি করেন ভিন্ন একটি ধারা। সুলতান সুলেমান ছিলেন একজন প্রখর ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, দৃঢ়চেতা, আত্মপ্রত্যয়ী ও ধার্মিক মানুষ। রাষ্ট্রের সর্বত্র বহু মসজিদ, মাদরাসা, ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, গোসলখানা ও সেতু ইত্যাদিসহ বিভিন্ন স্থাপত্য তৈরি করেন। যা এখনও কালের সাক্ষী হিসেবে রয়ে গেছে। সুলতান সুলেমানের আমলে নির্মিত অধিকাংশ স্থাপনার স্থপতি ছিলেন সিনান।
স্থপতি হিসেবে সিনানের বেশ সুনাম রয়েছে। জানা যায়, সিনান প্রায় ৩৭৪টি স্থাপনার নকশা করেছিলেন। যার মধ্যে বড় মসজিদ ৯২টি, ৫৫টি স্কুল, মাদরাসা সাতটি, ২০টি সমাধিক্ষেত্র, ১৭টি পাবলিক রেস্তোরাঁ, তিনটি হাসপাতাল, ছয়টি পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, ১০টি সেতু, ২০টি সরাইখানা ও ৩৬টি প্রাসাদ। সিনানের নকশা করা মসজিদগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শেহজাদে মসজিদ আর সুলেমানিয়া মসজিদ, যা সুলতান সুলেমান মসজিদ নামে বেশি পরিচিত।
ইস্তাম্বুলের সবচেয়ে বড় মসজিদ এটি। সুলতান সুলেমানের হুকুমে সিনান ১৫৫০ সালে এ মসজিদের কাজ শুরু করেন। শেষ হয় ১৫৫৭ সালে। সিনান বাইজান্টাইন চার্চ হাজিয়া সোফিয়ার অর্ধেক গম্বুজের ধারণা ব্যবহার করেন, কাজে লাগান এ মসজিদের নির্মাণশৈলীতে। মসজিদের মিনারগুলো পেনসিলের মতো। এতে রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গম্বুজ। সুলতান সুলেমান মসজিদের ভেতরের শৈলীও দৃষ্টিনন্দন। শব্দ নিয়ন্ত্রণের জন্য থাম আর দেয়ালগুলোর ভেতরে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
১৫৪৩ সালে হাঙ্গেরির অভিযান থেকে ফেরার পথে সুলতান সুলেমান ও হুররাম সুলতানের ছেলে শেহজাদে মেহমেদ (শাহজাদা মাহমুদ) গুটিবসন্তে মারা যান। সুলতান তার প্রিয় সন্তানের শোকে প্রায় ৪০ দিন ছেলের কবরের পাশে কাটিয়ে দেন। সুলেমান তখন সিনানকে দায়িত্ব দেন শাহজাদার নামে একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ তৈরি করতে। সেই মসজিদটিই শেহজাদে মসজিদ। যা আজও পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
আরো পড়ুন:
প্রবাসীদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্বের অঙ্গীকার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন
ওমানে নতুন রোগের সন্ধান, সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান
সৌদির ফুটপাতে ঘুমাচ্ছেন বাংলাদেশিরা
যুবরাজ সালমানকে সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ওমান গেলেন আমিরাতের প্রেসিডেন্ট
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post