ভুল চিকিৎসায় প্রায়ই রোগী মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। অনেক সময় ভুল চিকিৎসার কারণে বিভিন্ন হাঁসপাতাল ভাংচুর করেন রোগীর স্বজন এমন সংবাদও দেখা যায়। তবে এবার ভিন্ন এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব মেডিসিন আইওএম। তাদের প্রকাশিত উক্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রতি বছর সারা বিশ্বে অন্তত সাত হাজার রোগী মারা যায় কেবল প্রেসক্রিপশনে ডাক্তারদের হাতের লেখা বুঝতে না পারার কারণে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসক্রিপশনে ডাক্তারদের হাতের লেখা খারাপ হওয়ার পরিণাম যে এত মারাত্মক হতে পারে তা বোঝা যায়নি। ডাক্তাররা রোগীদের প্রতি যে নির্দেশ দেন প্রায়ই বুঝতে ভুল করেন রোগীরা। ডাক্তারদের হাতের লেখা খারাপ হওয়ার কারণে এই নির্দেশিকা বুঝতে ভুল করেন রোগীরা। যে ওষুধ দিনে দুবার খাওয়ার কথা ভুলে তা সপ্তাহে দুবার খেয়ে বসেন। কিংবা সকালের ওষুধটি খান রাতে। ফলেই ঘটে বিপত্তি।
গবেষণা অনুযায়ী, প্রতি বছর শুধু যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৫ লাখ রোগী অসুস্থ হন প্রেসক্রিপশন ঘটিত বিভ্রান্তির কারণে। আর সারাবিশ্বে ৭ হাজার মানুষ মারা যান প্রেসক্রিপশন বুঝতে না পেরে। আইওএম এর বক্তব্য, ওষুধের দোকানের কর্মীরাও অনেক সময়ে প্রেসক্রিপশনের লেখা বুঝতে ভুল করে থাকেন। ডাক্তার প্রেসক্রিপশনে লিখেছেন সেলেক্স। আর ওষুধের দোকানদার তাকে সেলেব্রেক্সা (আর্থারাইটিসের ওষুধ) দিয়ে দিলেন। ফলে সুস্থ হওয়ার বদলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রে ‘নেপসি’ নামের একটি প্রোগ্রাম চালু করা হচ্ছে।
এই প্রোগ্রামের সাহায্যে ডাক্তাররা হাতে লেখার পরিবর্তে ইলেক্ট্রনিক প্রেসক্রিপশন লেখার সুবিধা পাবেন। ফলে হাতের লেখার সমস্যা আর থাকছে না। এর আগে গত ২০১৭ সালে বাংলাদেশের উচ্চ আদালত এক নির্দেশনায় চিকিৎসকদেরকে স্পষ্টাক্ষরে পাঠোপযোগী ব্যবস্থাপত্র লিখতে বলেন। আইনজীবী মনজিল মোরশেদের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন।
আরো পড়ুন:
প্রবাসীদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্বের অঙ্গীকার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন
ওমানে নতুন রোগের সন্ধান, সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান
সৌদির ফুটপাতে ঘুমাচ্ছেন বাংলাদেশিরা
যুবরাজ সালমানকে সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ওমান গেলেন আমিরাতের প্রেসিডেন্ট
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post