বর্তমান এই আধুনিক যুগেও দাসত্বের শিকলবন্দি কোটি মানুষ। জোর পূর্বক কাজ করানো এবং অনিরাপদ বাস স্থানে শ্রমিকদের বসবাসের শীর্ষে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্য। ১২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) তাদের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, জোরপূর্বক শ্রম বা জোরপূর্বক বিবাহ এবং অন্যান্য সংকটে আটকে পড়া লোকের সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এক পঞ্চমাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ বিশ্বের প্রতি ১৫০ জনের মধ্যে প্রায় একজন আধুনিক দাসত্বের মধ্যে আটকা পড়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সব ধরনের দাসত্ব নির্মূলের যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জাতিসংঘ কাজ করছে, সে পথে অগগ্রতি হওয়া তো দূরের কথা, উল্টো নাটকীয় হারে বেড়েছে আধুনিক দাসপ্রথার শিকার মানুষের সংখ্যা। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সংখ্যাটা বাড়ার কারণে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ আধুনিক দাসত্বের শিকলবন্দি হয়ে আছে। যার মধ্য সবচেয়ে ভয়াবহ মধ্যপ্রাচ্যে, পরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলো।
বাংলাদেশের অভিবাসীদের অধিকাংশ মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত। কেবল সৌদি আরবেই অভিবাসীদের ৮০ শতাংশ বা ২০ লাখ কর্মরত রয়েছেন। আরব দেশগুলোতে অভিবাসীদের অধিকাংশের কাজ এবং থাকার পরিবেশ অনেক ক্ষেত্রেই অনিরাপদ। আইএলওর প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আরব দেশগুলোতে প্রতি দুই হাজারে প্রায় ১১ জন জোরপূর্বকভাবে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত। ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায় দেশগুলোতে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ জনে। সারা বিশ্বে এর গড় প্রায় ৭ জন। ব্যক্তিপর্যায়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে এমন নিষ্পেষণের শিকার সর্বোচ্চ ৮৪ শতাংশ। অন্যদিকে সরকারি পর্যায়ে নিযুক্তদের ১৪ শতাংশ এর আওতায় পড়েন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আধুনিক এই দাসপ্রথা সামাজিক ন্যায়বিচার এবং টেকসই উন্নয়নের সম্পূর্ণ বিপরীত।’ আইএলওর প্রকাশ করা নতুন এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে আধুনিক দাসত্বের কবলে আটকা পড়া মানুষের সংখ্যা এখন প্রায় পাঁচ কোটি।
সূত্র: আইএলও
আরো পড়ুন:
ওমানে গাড়ি ভাংচুর ও চুরির অপরাধে একাধিক ব্যক্তি গ্রেফতার
ঢাকা বিমানবন্দরে প্রবাসীদের পদে পদে ভোগান্তি
বিমানবন্দরে ফ্রি টেলিফোন সুবিধা, সুফল পাবেন প্রবাসীরা
প্রবাসী বাবাকে বাঁচাতে ৭ বছরের মেয়ের আকুতি
সম্মানই যদি না পান, রেমিট্যান্স কেন পাঠাবেন প্রবাসীরা
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post