দক্ষিণ আফ্রিকায় মুক্তিপণ দিয়ে বেঁচে ফিরলেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। জানাগেছে, গত ২৭ আগস্ট কেপটাউনের মিচেল প্লেন এলাকার ব্যস্ত সড়কে গাড়ি থামিয়ে টেনে-হিঁচড়ে আক্তার প্রধানকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় চার যুবক। দুই দিন পর স্বজনদের কাছে নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে ২০ মিলিয়ন রেন্ড (স্থানীয় মুদ্রা) মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। এরপর ৪ লাখ রেন্ড যা বাংলা মুদ্রায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে বেঁচে ফেরেন আক্তার প্রধান। তিনি বর্তমানে কেপটাউনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের একটি ব্যস্ত সড়ক থেকে অপহরণের পর মোটা অংকের মুক্তিপণ মিটিয়ে বেঁচে ফিরেন তিনি। বাংলাদেশ হাইকমিশনের থার্ড সেক্রেটারি কামরুল আলম খান গণমাধ্যমকে বলেন, তাকে উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে দূতাবাস থেকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর যোগাযোগ করা হয়েছিল। কমিউনিটি সূত্র জানায়, আক্তার প্রধানকে অপহরণ ও মুক্তিপণ মিটিয়ে ফিরে আসার পেছনে এক বাংলাদেশি জড়িত। তাকে ধরতে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন।
প্রবাসীরা জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করে সে টাকা বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় অপহরণকারীরা। বাংলাদেশের গোয়েন্দারা এ বিষয়ে কাজ করলে অপরাধী চক্রগুলোকে শনাক্ত করা সম্ভব। দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি কমিউনিটি সংগঠন মুক্তবাংলা ফাউন্ডেশনের প্রধান উদ্যোক্তা শফিকুর ইসলাম বলেন, আক্তার প্রধান অপহরণের ঘটনার পর সরকারি ও বেসরকারিভাবে তাকে উদ্ধার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করি। তবে ঘটনার পেছনে একজন বাংলাদেশি জড়িত প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আরো পড়ুন:
ছুটিতে দেশে এসে সৌদি প্রবাসীর মৃত্যু
বেড়েছে প্রবাসী আয়, রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলার
হুন্ডিতে টাকা নিলে বিপদে পড়বেন প্রবাসীর স্বজন
মৃত্যুকূপ পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছেছে ৩৮ বাংলাদেশি
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post