আখুদ ভিসায় নিরাপত্তাকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও কৃষি কাজে কুয়েত আসছেন অনেক বাংলাদেশি। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই দালাল ও এজেন্সির মাধ্যমে দেশটিতে প্রবেশ করছেন। এ ভিসায় আসা নিরাপত্তাকর্মীদের ১২০ কুয়েতি দিনারে দৈনিক ১২ ঘন্টা ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ৭৫ দিনারে দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজ করতে হয়। যা বাংলাদেশি টাকায় ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা।
ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কার শ্রমিকরা এই কাজের জন্য ১ লাখ টাকা খরচ করে কুয়েতে আসতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশি শ্রমিকরা একই ভিসায় একই কাজের জন্য দালাল অথবা এজেন্সির মাধ্যমে খরচ করে ৫ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা। কোনো শ্রমিক যদি ডবল ডিউটি করতে চায় কোম্পানির ফোরম্যান, সুপারভাইজারকে দিতে হয় ঘুষ, ডিউটি পরিবর্তন করতেও দিতে হয় ঘুষ, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজ করে থাকে এসব শ্রমিক।
কুয়েতে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা অদক্ষ শ্রমিকদের পাশাপাশি নতুন নতুন কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষ শ্রমিক পাঠানোয় জোর দিতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। দক্ষ শ্রমিক এলে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাবে, দেশের রিজার্ভ ফান্ড বাড়বে। তাতে দেশের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ কমিউনিটির একটি অনুষ্ঠানে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসিকুজ্জামান বলেন, সুখের সংবাদ হলো কুয়েতে দুটি কোম্পানিতে দক্ষ নার্স আসা শুরু হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রায় ৪শ নার্স চলে আসবে। এরা যদি ভালো কাজের মাধ্যমে সুনাম অর্জন করতে পারেন, তাহলে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমাদের দক্ষ শ্রমিক আসার পথ সুগম হবে।
আরো পড়ুন:
আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি ডলার
বাংলাদেশ বিমানে ফের সক্রিয় টিকিট সিন্ডিকেট
আবারো মিয়ানমারের ছোড়া ২টি গোলা পড়লো বান্দরবানে
যে কারণে ৭০০ বছরেও খোলা হয়নি প্রিয় নবীজির রওজার মূল দরজা
প্রবাসী নারীর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলো ‘জিনের বাদশা’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post