প্রতিনিয়তই পদে পদে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখা রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। এবার তাদের ভোগান্তিতে নতুন করে যোগ হয়েছে কার্গো বিমানে পণ্য পাঠানোর বিড়ম্বনা। ওমান, কুয়েত সহ মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রবাসীরা বিভিন্ন সময় দেশে প্রিয়জনের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাঠিয়ে থাকেন। আগে অল্প সময়ে কম খরচে পণ্য পাঠাতে পারলেও বর্তমানে গুনতে হচ্ছে বেশি টাকা এবং সময়ও লাগছে অনেক।
আগে অল্প খরচে ৩/৪ দিনের মধ্যে কুয়েত থেকে মালামাল পাঠানো গেলেও বর্তমানে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগছে। সেইসাথে খরচও অনেক বেশি এখন, এমন অভিযোগ কুয়েত প্রবাসীদের। এদিকে, করোনার সময় আকাশ ও নৌপথে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় প্রবাসীদের অনেকেই কার্গো সেক্টর থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। এতে এই সেক্টরে কর্মরত অনেক প্রবাসীর আয়ের পথ এখন বন্ধ। সঠিক তদারকির অভাবে হুমকির মুখে প্রবাসীদের কার্গো সেক্টর। ওমান থেকে একাধিক প্রবাসী জানিয়েছেন, বছর পার হলেও তাদের মালামাল পায়নি পরিবার।
চলমান এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন কুয়েত প্রবাসী কার্গো ব্যবসায়ীরা। কুয়েত প্রবাসী কার্গো ব্যবসায়ী ওয়াসিম বলেন, গ্রাহক পণ্য পাচ্ছে দেরিতে। ১৫ থেকে ২০ দিন লাগছে। মালামালের জন্য বিভিন্ন কার্যালয়ে দৌড়াতে হচ্ছে। প্রবাসীরা যেন সহজে বাংলাদেশে মালামাল পাঠাতে পারে এজন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন প্রবাসী কার্গো ব্যবসায়ীরা। একইসাথে কার্গোর ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালারও দাবী জানিয়েছেন তারা।
আরো পড়ুন:
মারা গেলেন ওমান প্রবাসী আপন চার ভাই
‘প্রবাসীদের রেমিট্যান্স-যোদ্ধা বলে লাভ নেই’
ওমানে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মাদকের চালান ধরলো সৌদি
স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিলো বাজুস
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post