মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে চলেছেন। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য চলেছে নানা গবেষণা। কিন্তু চূড়ান্ত সাফল্য এখনো আসেনি। তবে আপাতত যে ছ’টি ভ্যাকসিন সাফল্যের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে, তাদের নাম দ্য লেন্সেটের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
মোডের্না সংস্থার mRNA-1273
মোডের্না সংস্থার mRNA-1273। এটি দ্বিতীয় ধাপে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর্যায়ে আছে। সংস্থাটি সম্প্রতি একটি তথ্য প্রকাশ করে বলেছে, এই ভ্যাকসিনের প্রথম ধাপের গবেষণা সফল হয়েছে। এই ভ্যাকসিনের গবেষণা হচ্ছে আমেরিকায়।
Ad5-nCoV
এটি প্রথম করোনা ভ্যাকসিন যা দ্বিতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালে প্রবেশ করতে পেরেছে। কোভিড ১৯–এর জন্য ক্যানসিনো বায়োলজিক্স ও কানাডার জাতীয় গবেষণা সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে।
পিকোভ্যাক
ফরাসি সংস্থা স্যানোফি এটি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। এই ভ্যাকসিনটিরও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। এই ভ্যাকসিনটি নেওয়ার জন্য গোপনে সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করতে চেয়ে ছিল ট্রাম্প। যদিও পরে ফরাসি সংস্থা এ চুক্তি করেনি।
NVX cov 2373
সংস্থা দাবি করেছে, তারা ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে এই ভ্যাকসিনের কাজ শুরু করেছে। গবেষণা অনেক দূর এগিয়েছে। বিশেষ ব্যবহারের জন্য হয়তো জানুয়ারি, ২০২১–এর শুরুতেই এটির অনুমতি মিলবে।
BioNTech ও BNT162
BioNTech ও BNT162 ভ্যাকসিনের গবেষণা হচ্ছে জার্মানিতে। প্রাথমিকভাবে ১২ জনের শরীরে এটি প্রয়োগ করা হয়। আরও বেশি মানুষের শরীরে এটি প্রয়োগ করে পরীক্ষা করার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। পরে এটি আমেরিকাতেও পরীক্ষা করা হবে।
আরও পড়ুনঃ এনওসি প্রথা বাতিলে খুশি ওমান প্রবাসীরা
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের AZD1222
এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখে এটির ট্রায়াল শুরু হয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকেই আশা করছেন। ইতোমধ্যেই ৪০০ মিলিয়ন ডোজ উৎপাদনের চুক্তি করেছে অ্যাস্ট্রাজেনকা। আগামী সেপ্টেম্বরে বাজারে আনার আশাও ব্যক্ত করা হয়েছে।
https://www.youtube.com/watch?v=T7fGyJm9PLU
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post