ওমানে যাওয়ার ১৫ দিনের মাথায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ইকবাল হোসেন (৩২) নামে এক বাংলাদেশি প্রবাসী। নিহত ইকবাল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৪ নম্বর মরিয়মনগর ইউনিয়নের পাঁচবাড়ি গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গতকাল মঙ্গলবার অর্থাৎ ২১ জুন ওমানের স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে আবু আলওয়ালী নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে শাহেদ আলম নামে এক প্রবাসী বলেন, ইকবাল রাস্তার পাশের একটি হোটেল থেকে রাতের খাবার নিয়ে বাসায় ফেরার সময় সড়ক পার হতে গিয়ে একটি দ্রুতগামী গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। পরে পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাত্র ১৫ দিন আগেই জীবিকার প্রয়োজনে ওমান গিয়েছিলেন ইকবাল। পরিবারের ৩ ভাই ২ বোনের মধ্যে ইকবাল ছিলেন দ্বিতীয়। ওমান যাওয়ার পর মঙ্গলবার তিনি সেই দেশের পতাকা অর্থাৎ কাজ করার অনুমোদনপত্র (ওয়ার্ক পারমিট কার্ড) পেয়েছিলেন। সেই খুশিতে বন্ধুবান্ধব নিয়ে বাসায় খাওয়ার আয়োজন করেন তিনি। সেই খাবার আনতে রাতে সাইকেল নিয়ে হোটেলে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে এক ওমানি নাগরিকের দ্রুতগতির গাড়ির ধাক্কায় মারা যান।
নিহত ইকবালের ১০ মাস বয়সী এক পুত্রসন্তান রয়েছে। পরিবারের মুখে হাঁসি ফুটানোর আগেই না নিভে গেলো প্রদীপ। তার এমন মৃত্যুতে শোঁকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা পরিবারে। শেষ বারের মতো প্রিয়জনের মুখটি দেখতে অপেক্ষার প্রহর গুনছে পরিবারের লোকজন। মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠাতে দূতাবাসের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে তার পরিবার।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ওমানে অধিকাংশ প্রবাসী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। দেশটির ট্র্যাফিক আইন না যানা এবং অসচেতনতাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমতাবস্থায় রাস্তা পারাপারে সাবধানতা অবলম্বনে প্রবাসীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।
আরো পড়ুন:
অনলাইনে মিলবে ওমানের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ
প্রবাসীরা সবার প্রয়োজন হয় ঠিকই কিন্তু প্রিয়জন হয়না!
এবার পতিতাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দিলো কাতার
প্রবাসীদের রি-এন্ট্রি ভিসা ইস্যুর নির্দেশনা জারী করেছে সৌদি
শাহজালালে আড়াই কেজি স্বর্ণসহ এক প্রবাসী গ্রেপ্তার
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post