সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে কেন শুধু ২৫টি সংস্থাকেই অনুমোদন দেয়া হয়েছে–মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রীর কাছে সেই ব্যাখ্যা দাবি করেছে সেখানকার অভিবাসী শ্রমিক অধিকার গোষ্ঠীগুলো। তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই দাবি তুলেছেন দেশটির সেলাঙ্গর প্রদেশের ক্লাংয়ের পার্লামেন্ট সদস্য চার্লস সান্টিয়াগো।
এ বিষয়ে তাদের শঙ্কা, এতে একটি চক্র শ্রমিকদের কাছ থেকে ধাপে ধাপে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ পাবে। সহায়-সম্বল বিক্রি করে অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য বিদেশে পাড়ি জমানো শ্রমিকদের ঋণের বোঝা আরও অসহনীয় হয়ে উঠবে।
এদিকে এমন প্রেক্ষাপটে অভিবাসী শ্রমিক শোষণ ও নিপীড়ন সমস্যার সমাধানে মালয়েশিয়া কীভাবে সহায়তা করবে, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১২ জুন) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চার্লস সান্টিয়াগো এসব তথ্য দিয়েছেন।
এ বিষয়ে তিনি জানান, কর্মী পাঠাতে কেবল ২৫টি সংস্থাকে অনুমোদন দেয়ায় মালয়েশিয়ায় যেতে আগ্রহী বাংলাদেশিরা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়তে পারে। সিন্ডিকেটের ফাঁদে পড়ে অনেক বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হবে তাদের। এতে আর্থিক খেসারত ছাড়াও ভোগান্তির শেষ থাকবে না শ্রমিকদের।
তবে এখন পর্যন্ত অনুমোদিত সংস্থাগুলোর নাম প্রকাশ করেনি মালয়েশিয়া সরকার। জানা গেছে, এসব সংস্থা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমিনুল ইসলাম বিন আব্দুল নূর নামের এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে। মালয়েশিয়ায় তিনি ‘দাতু আমিন’ নামে পরিচিত। এর আগেও হাজার হাজার শ্রমিককে জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। তিনি বেস্টিনেট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ফরেন ওয়ার্কার্স সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (এফডব্লিউসিএমএস) মাধ্যমে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এতে ব্যাপক প্রভাব রয়েছে দাতু আমিন নামের এই আদম ব্যবসায়ীর। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে শ্রমিকদের কাছ থেকে ধাপে ধাপে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পথ তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে ।
আরো পড়ুন:
ডিম ভাজা যাচ্ছে সৌদি আরবের রাস্তায়!
মহাকাশে রহস্যময় সংকেতে ঘুম হারাম বিজ্ঞানীদের
ওমানে সফল নারী উদ্যোক্তা বাংলাদেশি শাওয়াল শারমিন
হুন্ডি প্রতিরোধে কঠোর হচ্ছে আমিরাতের বাংলাদেশ মিশন
আমিরাতে সম্ভাবনার দ্বার খুললো বাংলাদেশী পণ্যের
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post