ওমানের হেঙ্গাম তেলক্ষেত্র উন্নয়নে একটি যৌথ কমিটি গঠন করতে সম্মত হয়েছে ইরান। ইরানের তেলমন্ত্রী জাওয়াদ ওউজি বলেছেন, ওমানের সীমান্ত সংলগ্ন তেল ক্ষেত্রটির উন্নয়ন করে দেবে ইরান। ওমানের সাথে ইরানের দীর্ঘতম সমুদ্র সীমান্ত রয়েছে। দেশটির সাথে বিগত ৫০ বছর যাবত ইরানের সুসম্পর্ক বজায় ছিল। ২০০৫ সালে দু’দেশ হেঙ্গাম তেল ক্ষেত্র উন্নয়নের চুক্তি করলেও বাস্তবে এটি আলোর মুখ দেখেনি।
সোমবার ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসির ওমান সফরের আগেভাগে মাস্কাট সফর করেন। সফরে তিনি তেল ক্ষেত্রের উন্নয়ন ছাড়াও সাগরের তলদেশে পাইপ লাইন স্থাপন করে ইরানের গ্যাস ওমানে রফতানির উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।
এ রকম পাইপ লাইন স্থাপনের জন্যও দুদেশের মধ্যে ২০১৩ সালে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২৫ বছরে বাস্তবায়নযোগ্য এ প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০ বিলিয়ন কোটি ডলার। ইরানের তেলমন্ত্রী ওউজি বলেন, তিনি তার ওমানি সমকক্ষ মোহাম্মাদ বিন হামাদ বিন রুমহির সাথে সাক্ষাতে হেঙ্গাম তেলক্ষেত্রের উন্নয়নে একটি যৌথ কারিগরি কমিটি গঠন করতে সম্মত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার কাজে যাতে আর বিরতি না পড়ে সেটি তদারকি করবে এই কমিটি। তিনি বলেন, তেল ক্ষেত্রটির উন্নয়ন হলে তা থেকে উভয় দেশ লাভবান হবে।
বিগত ফার্সি বছরে তার আগের বছরের তুলনায় ওমানের সাথে ইরানের বাণিজ্যিক লেনদেন বেড়েছে শতকরা ৫৮ ভাগ। প্রেসিডেন্ট রায়িসি তার সোমবারের ওমান সফরে ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’ এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। সফরে তার সাথে ছিল ৫০ সদস্যের একটি শক্তিশালী বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদল। সফরে দু’দেশের মধ্যে ১২ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।
গতকাল (সোমবার) ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসির একদিনের মাস্কাট সফরের সময় এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জ্বালানী, পরিবহন, পর্যটন, ক্রীড়া, পরিবেশ, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা শক্তিশালী করতে দু’দেশের বিভিন্ন মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এ সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট রায়িসি ও ওমানের সুলতান হাইথাম বিন তারিক আল সাঈদ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য: গত বছরের আগস্ট মাসে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করে রায়িসি পারস্য উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করাকে তার সরকারের অগ্রাধিকার-ভিত্তিক কাজ বলে ঘোষণা করেন। তার সরকারের ওই নীতির অংশ হিসেবে এরইমধ্যে কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইরানের শুল্ক অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বিগত ফার্সি বছরে ইরান ও ওমানের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন ১৩৩ কোটি ৬০ লাখ ডলারে উন্নীত হয়েছে যা তার আগের বছরের তুলনায় শতকরা ৫৩ ভাগ বেশি।
আরো পড়ুন:
সবাই আমার স্ত্রীকে চোরের বউ বলে আমাকে জামিন দেন
পাসপোর্ট অফিসে কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য, অনুসন্ধানে দুদক
প্রবাসী বন্ডে কমছে মুনাফার হার
করোনা মোকাবিলায় ওমানের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post