মানব পাচার রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ওমানের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। রয়্যাল ওমান পুলিশ (আরওপি) আয়োজিত এক কর্মসূচিতে এই তথ্য উঠে আসে। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে আরওপি কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
রয়্যাল ওমান পুলিশের তদন্ত ও অপরাধ বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জামাল বিন হাবিব আল কোরাইশি বলেন, “মানব পাচার একটি বৈশ্বিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে যা সমাজের জন্য হুমকি ও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যান্য দেশের মতো ওমানও অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সঠিকভাবে মানব পাচার মামলা পরিচালনার জন্য সকল কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য: মধ্যযুগের মানবতাবিরোধী জঘন্য অপকর্ম দাসপ্রথার আধুনিক সংস্করণ ‘মানব পাচার’ বর্তমানে সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। যখন কোনো ব্যক্তি ধর্মীয় অনুশাসন ভুলে দেশ থেকে বিদেশে বা অন্যদেশে কোনো ব্যক্তিকে অসৎ উদ্দেশ্যে পাচার করে, তাকে স্বাধীনভাবে চলতে না দিয়ে, জবরদস্তি করে শ্রম দিতে বা পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করে, তার ওপর যৌন নির্যাতন বা শ্লীলতাহানি করে অথবা মারধর, আঘাত বা অন্য কোনো রকম শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে ক্ষতি সাধন করে তাই হচ্ছে ‘মানব পাচার’।
মানব পাচার আধুনিক সভ্যতার একটি নিকৃষ্টতম অপরাধ। এটি প্রতিরোধে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হলে নারী ও শিশু পাচার বহুলাংশে কমে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post