রাশিয়ার ওপর থেকে জ্বালানি নির্ভরতা কমাতে বিকল্প উৎস খুঁজতে গত সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্য সফরে যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পেট্রলের দাম কমানোর লক্ষ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে বৈঠকের জন্য গত বুধবার তিনি উপসাগরীয় দেশ আবুধাবিতে যান।
বড় আশা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেলেও তাকে ফিরতে হলো শূন্যহাতেই। সৌদি আরব ও আরব আমিরাত— কেউই তার কথায় কান দেয়নি। খবর আরব নিউজের। উল্টো নিজ দেশে সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি। এমন একসময় তিনি রিয়াদ সফর করেন, যখন একদিনে দেশটিতে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
ইউক্রেনে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পশ্চিমা দেশগুলো এখন নিজেরাই বেকায়দায় পড়েছে। জ্বালানি বিকল্প উৎস খোঁজার প্রতিযোগিতায় নেমেছে তারা। তেলের জন্য এখন ভেনিজুয়েলায়ও ধর্ণা দিচ্ছে আমেরিকা।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন উপসাগরীয় অঞ্চলে সফরের মাধ্যমে ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘাতের প্রতিবাদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক জোট গঠন এবং তার তেল ও গ্যাস রপ্তানির ওপর নির্ভরতা বন্ধ করার একটি মিশন ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তার এ আহ্বানে সাড়া দেননি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post