বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরাসরি নৌ যোগাযোগ চালুর অনুরোধ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর। আমিরাত ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফসিসিআই) মহাসচিব হুমাইদ মোহাম্মদ বিন সালেমের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ অনুরোধ করেন। রাষ্ট্রদূত আবু জাফর বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের মধ্যে সরাসরি নৌ যোগাযোগ স্থাপনের ওপর জোর দেন। এতে পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ কমিয়ে দেবে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে উল্লেখযোগ্য সাহায্য করবে।
গত ১৯ জানুয়ারি এফসিসিআই কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে উভয়েই ইউএই এফসিসিআই ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ ব্যবসায়িক কাউন্সিল সক্রিয় করতে সম্মত হন। এতে রাষ্ট্রদূত কৃষি, তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়া শিল্প, এসএমই সেক্টর ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরেন।
বাংলাদেশি পণ্য আমদানির পাশাপাশি বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করে এফসিসিআই মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে রাজনৈতিক স্তরে এবং জনগণের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। যেহেতু দুবাই মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল এবং এর বাইরেও একটি ট্রেডিং হাব ও গেটওয়ে হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, তাই দুবাইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্য সহজেই এ বাজারে পৌঁছাতে পারে।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে কৃষি পণ্যের একটি টেকসই সরবরাহ চেইন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির অংশীদার হওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতির কথাও উল্লেখ করেন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের এফসিসিআই মহাসচিবকে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। মহাসচিব আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং একটি সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post