অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় মালয়েশিয়ায় অন্তত ২১ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশটির ৭টি রাজ্যে বন্যা দেখা গেছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। সর্বশেষ দেশটির পেরাক রাজ্যেও বন্যা দেখা দিয়েছে, বন্যাক্রান্ত অন্য ছয়টি রাজ্যের পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
শনিবার গণমাধ্যমকে দেয়া এক বার্তায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব জানান, শুক্রবার সকালের অতিবৃষ্টি ছিল স্বাভাবিক সময়ের এক মাসের বৃষ্টির সমান। প্রধানমন্ত্রী বন্যাক্রান্তদের দ্রুত সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর ও স্থাপনা মেরামতের জন্য ইতিমধ্যে ১০০ মিলিয়ন রিঙ্গিত বরাদ্দ দেয়ার কথা জানিয়েছেন।
যারা বাড়িঘর ও যানবাহনে আটকা পড়েছেন তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ৬৬ হাজারের বেশি পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা উদ্ধারকাজ তদারক করছেন।
দ্য স্টারের প্রতিবেদনে জানা যায়, অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় দেশটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য হলো সেলাং। রাজ্যটিতে এখন পর্যন্ত ১০ জন নিখোঁজের খবর জানা গেছে। এ ছাড়া বন্যার ফলে সেখানে পানি শোধনাগার কেন্দ্র অকেজো হয়ে গেছে। যেখান থেকে হাজারও লোকের জন্য পানি সরবরাহ করা হতো।
রাজধানী কুয়ালালামপুরের আশপাশে অনেক বাস রুট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্দরনগরী ক্যালাংয়ে রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়েছে। মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় ২০১৪ সালে। সে সময় প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post