দীর্ঘ অবরোধ প্রত্যাহারের পর প্রথম কাতার সফরে পৌঁছেছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এ মাসের শেষের দিকে সৌদি আরবে উপসাগরীয় সম্মেলন হওয়ার কথা আছে। তার আগে তিনি উপসাগরীয় দেশগুলো সফর করছেন।
বুধবার ওমান সফর শেষ করে তৃতীয় দেশ হিসেবে কাতারের রাজধানী দোহা’য় পৌঁছান প্রিন্স সালমান। এর আগে তিনি ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এক্সপো ২০২০ পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে সংক্ষিপ্ত ফ্লাইটে পৌঁছান কাতার। বাহরাইন এবং কুয়েত সফরে যাওয়া কথাও রয়েছে তার।
কাতারে পৌঁছানোর পর মোহাম্মদ বিন সালমানকে স্বাগত জানান কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। অনলাইন আল জাজিরা বলছে, সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও সমর্থন দেয়ার অভিযোগ কাতারে বিরুদ্ধে সৌদি আরব এবং উপসাগরীয় আরো কয়েকটি দেশ অবরোধ আরোপ করে। ছিন্ন করে কূটনৈতিক সম্পর্ক।
অবশেষে এ বছর জানুয়ারিতে কাতারের উপর থেকে সেই অবরোধ প্রত্যাহার করে সৌদি আরব। কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ প্রত্যাহারের পর এটাই সৌদি আরবে প্রথম সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এর আগে পররাষ্ট্রনীতির অধীনে কাতারের সাথে বিরোধের সমাপ্তি ঘটে। এতে একমত হয় বাহরাইন, মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
তবে এর আগে কাতারের কাছে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন। তাদের দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল আল-জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়া এবং তুরস্কের একটি ছোট কন্টিনজেন্টকে বহিষ্কার করা। কিন্তু তাদের সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে কাতার।
অবশেষে গত জানুয়ারিতে এই চারটি দেশ কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ প্রত্যাহারের একমত হয়। এরপর তাদের নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করে। তবে এখনো রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয়নি আবুধাবি এবং মানামা। অন্যদিকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিশরের সাথে এরই মধ্যে বাণিজ্য এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে কাতার। এখনো বাহরাইনের সাথে এ সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি।
এরই মধ্যে সৌদি আরব সফর করেছেন কাতারের আমির এবং সেখানে তিনি বেশ কয়েক সাক্ষাৎ করেছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে। ২০১৭ সালে মোহাম্মদ বিন সালমানকে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করার পর এই প্রথম বার তিনি বুধবার কাতার সফরে গেলেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post