করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়ালেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এমতাবস্থায় দেশে লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ রোববার দুপুরে সাভারে নির্মাণাধীন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্ট (বিআইএইচএম) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের নানা দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ বেড়ে গেলেও বাংলাদেশে পরিস্থিতি ভালো। তবে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে আপাতত সীমান্ত বন্ধ করার পরিকল্পনা নেই। দেশে পর্যাপ্ত করোনার টিকা রয়েছে।
এসময় প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এখন বিদেশে আছেন তাদের এই মুহূর্তে দেশে না আসাই ভালো। তারা যেন সংক্রমিত হয়ে দেশে না আসেন। মন্ত্রী বলেন, যারা বিদেশ থেকে আসবেন তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। প্রবাসীদের তাদের পরিবারকে নিরাপদে রাখতে হবে, দেশকেও সুরক্ষিত রাখতে হবে। কাজেই আপনারা যেখানে আছেন সেখানেই নিরাপদে থাকুন।
তিনি বলেন, ৬০ বছরের ওপরে যারা আছেন তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। আপনারা জানেন ইতোমধ্যে অনেক দেশেই বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশেও বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমাদের টিকার কোনো অভাব নেই। আমরা বুস্টার ডোজও দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমরা করোনার পরীক্ষা, কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা জোরদার করেছি। আমাদের দেশ ভালো আছে, নিরাপদে আছে। আপনারা জানেন, আমরা দুই থেকে তিনজন করে মৃত্যুর খবর পাই। এই অবস্থা থাকলে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার শূন্যে নেমে আসবে।
আমরা যদি সচেতন থাকি, আক্রান্তরা যদি দ্রুত চিকিৎসা নেয় তাহলে মৃত্যুর হার শূন্যে নেমে আসবে। টিকা নেওয়া থাকলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, নিরাপদে থাকবে। যদি আক্রান্তও হয় চিকিৎসা নিলে ভালো হয়ে যাবে। আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাও এখন অনেক উন্নত।
তিনি আরও বলেন, জেলা শহরে আমরা বিভিন্ন কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছি, তারা যেন করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। বাইরে থেকে কেউ যদি আসে তাহলে তাদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post