সংস্কারের জন্য এ বছরের ৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত তিন মাস বন্ধ থাকবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাতের ফ্লাইট। এ সময় রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত রানওয়ে বন্ধ থাকবে। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের সুবিধার জন্য নতুন হাইস্পিড কানেকটিং ট্যাক্সিওয়ে বানানো হচ্ছে। যার নির্মাণকাজ চলবে রাতে। এএইচএম তৌহিদ-উল আহসান বলেন, সংস্কারের সময়টাতেই বন্ধ থাকবে রানওয়ে।
তবে এতে বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কাজে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এ সময় জরুরি অবতরণের প্রয়োজন হলে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করা হবে বলেও জানায় বেবিচক।
এমনিতেই ঘন কুয়াশায় শাহজালাল বিমানবন্দরে শীতকালীন ফ্লাইট-সূচি শুরু হয়েছে। পরিবর্তন করা হয়েছে মধ্যরাতের পরের ফ্লাইটগুলোর সময়। প্রতি বছরই নভেম্বর থেকে শীতকালীন ফ্লাইট-সূচি অনুসরণ করা হয়। রাত ২টা থেকে সকাল ৮টা-৯টা পর্যন্ত কুয়াশা বেশি পড়ে বলে এ সময়ের ফ্লাইটগুলোর রানওয়ে ‘ভিজিবিলিটি’ কম থাকে। এতে অবতরণ করতে সমস্যায় পড়ে উড়োজাহাজ। বিশেষ পরিস্থিতিতে ফ্লাইট পাঠাতে হয় পাশের বিমানবন্দরে।
প্রতি বছরই নভেম্বর থেকে শীতকালীন ফ্লাইট-সূচি অনুসরণ করা হয়। রাত ২টা থেকে সকাল ৮টা-৯টা পর্যন্ত কুয়াশা বেশি পড়ে বলে এ সময়ের ফ্লাইটগুলোর রানওয়ে ‘ভিজিবিলিটি’ কম থাকে। এতে অবতরণ করতে সমস্যায় পড়ে উড়োজাহাজ। বিশেষ পরিস্থিতিতে ফ্লাইট পাঠাতে হয় পাশের বিমানবন্দরে। এ বিষয়ে বেসরকারি এয়ারলাইনসের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ সময়ে থাকা ফ্লাইটগুলো পুনর্বিন্যাস করতে বেবিচক নির্দেশ দিয়েছে।’
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যে আইএলএস প্রযুক্তি আছে, তার দৃষ্টিসীমা ৬০০ মিটার, কিন্তু শীতকালে ঘন কুয়াশায় প্রায়ই রানওয়ের দৃষ্টিসীমা নেমে আসে ৫০ থেকে শূন্য মিটারে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার কারণে কোনো ফ্লাইটকেই ওঠানামার অনুমতি দেয়া হয় না।
বিশেষ পরিস্থিতিতে ফ্লাইট পাঠানো হয় বিকল্প বিমানবন্দরে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে এয়ারলাইনস। এ কারণে বেশ কয়েক বছর ধরে আইএলএস প্রযুক্তির মানোন্নয়নের দাবি জানিয়ে আসছে এয়ারলাইনসগুলো। শাহজালালের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ উল আহসান বলেন, ‘আইএলএস ক্যাটাগরি উন্নীত করার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্রান্সের থ্যালাসের কাছ থেকে বাংলাদেশ যে রাডার কিনছে, তার সঙ্গে আইএলএস প্রযুক্তিও দেশে আসবে। তবে এ প্রক্রিয়া শেষ হতে এখনও সময় লাগবে। থ্যালাসের যে রাডার শাহজালালে বসবে, সেটি প্রস্তুত হয়ে কাজ শুরু করতে সময় লাগবে ২০২৪ সাল।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস বিভাগের সদস্য চৌধুরী এম জিয়া উল কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কুয়াশায় ফ্লাইট ডিজরাপশন ঠেকাতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। যেটা আগে হয়েছিল, সেটা যেন না হয়, সে বিষয়ে প্রিভেন্টিভ মেজার্সগুলো তারা নিচ্ছে।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post