মালয়েশিয়ায় বড় ধরনের অভিযান পরিচালনার আগেই আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদ্দিন। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় অনথিভুক্ত অভিবাসীদের ধরতে একটি বড় আকারের যৌথ অভিযান শুরু করবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রিক্যালিব্রেশন প্ল্যান হলো নিয়োগকর্তাদের জন্য একটি সুযোগ, যারা অবৈধ বিদেশিকর্মীদের নিয়োগ দিচ্ছেন এবং নথিভুক্ত নিশ্চিত করতে প্রোগ্রামের সঙ্গে নিবন্ধন করার জন্য এগিয়ে আসবেন। সরকারও চায় নিয়োগকর্তারা এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখুক, কারণ অবৈধ শ্রমিক থাকলে সমস্যা তৈরি হবে।
এদিকে, পুনঃনির্মাণ কর্মসূচির দুটি অংশ ছিল – শ্রম এবং প্রত্যাবাসন। শ্রম পুনঃনির্মাণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছিল নির্দিষ্ট কিছু খাতে, যেমন- নির্মাণ, উৎপাদন, বৃক্ষরোপণ, কৃষি এবং পরিষেবাতে নিয়োগকর্তাদেরকে বৈধভাবে অনথিভুক্ত বিদেশিকর্মীদের নিয়োগের অনুমতি দেওয়ার জন্য। প্রত্যাবাসন পুনঃনির্মাণ কর্মসূচি হলো যেখানে নথিবিহীন অভিবাসীরা স্বেচ্ছায় স্বদেশে ফিরে যেতে পারে।
হামজাহ বলেছেন, যারা নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যর্থ হয়েছে তাদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রত্যাবাসন কর্মসূচির অধীনে নির্বাসিত করা হবে। এদিকে গতকাল এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মালয়েশিয়ায় বিদেশিকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে সব খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবে।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টেবর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে যৌথ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন তিনি। বৈঠকে প্ল্যান্টেশন শিল্প ও পণ্যমন্ত্রী দাতুক জুরাইদা কামারউদ্দিন ও ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক সেরি খায়রুল দাজাইমি দাউদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post