প্রবাসীদের রেসিডেন্স কার্ড বা পতাকার মেয়াদ পূর্বের ২ বছরের পরিবর্তে ৩ বছর করে নতুন আইন জারি করেছে ওমান সরকার। চলতি সপ্তাহে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের নতুন এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এখন থেকে নতুন নবায়নকৃত আইডির তারিখ হতে পরবর্তী ৩ বছরের জন্য প্রবাসীদের পতাকার মেয়াদ থাকবে। যা পূর্বে ২ বছরের জন্য ছিলো।
তবে এই সুবিধাটি সকল প্রবাসীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলে জানাগেছে সূত্রে। গত ২৪ অক্টোবর দেশটির পুলিশ ও কাস্টমসের মহাপরিদর্শক লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসান আল শারিকি সিভিল স্ট্যাটাস আইনের নির্বাহী প্রবিধান সংশোধনের সিদ্ধান্ত জারি করেন।
নতুন আইন অনুযায়ী, ৩ বছর মেয়াদি রেসিডেন্স কার্ড সকলের জন্য নয় বলে ঘোষণা করা হলেও কারা এই সুবিধা পাবেন এবং কিভাবে পাবেন তা স্পষ্ট করা হয়নি এখনো। সেইসাথে এই ভিসার ফি কত নির্ধারণ করা হয়েছে, এমন কোনো তথ্যও এখন পর্যন্ত জানায়নি ওমানের শ্রম মন্ত্রণালয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে শীঘ্রই এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য ওমানের শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হবে।
নতুন এই আইনে আরো বলা হয়েছে, ১০ বছর বয়স হলেই প্রবাসী সন্তানদের রেসিডেন্স কার্ড করা বাধ্যতামূলক করেছে দেশটির সরকার। এছাড়াও কোনো নাগরিক যদি সময় মতো কার্ড নবায়ন না করতে পারে তাহলে তাকে গুনতে হবে ৫ রিয়াল জরিমানা।
রয়্যাল ওমান পুলিশ জানিয়েছে, “সিভিল স্ট্যাটাসের নতুন সংশোধিত আইনে কোনো ওমানি নাগরিক বা প্রবাসীর বয়স ১০ বছর হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে আইডি কার্ড তৈরি করতে হবে। যদি কোনো ব্যক্তি কার্ড তৈরি করতে না পারে তাহলে তাকে জরিমানা গুনতে হবে।”
ওমানে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন এমন প্রবাসীদের সন্তানদের বয়স ১০ বছর হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে পতাকা/ রেসিডেন্স কার্ড করে নিতে হবে। নতুন এই আইনে হারানো কার্ড পুনরায় ইস্যু করার জন্য ওমানি নাগরিকদের ক্ষেত্রে ১০ রিয়াল এবং প্রবাসীদের জন্য ২০ রিয়াল নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে, দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসী ব্যবসায়ীদের জন্য দারুণ সুখবর দিয়েছে দেশটির সরকার। এখন থেকে দুবাইর মতো ১০ বছর মেয়াদি ইনভেস্টর ভিসা ওমান থেকেও পাওয়া যাবে। রয়্যাল ওমান পুলিশ জানিয়েছে, এখন থেকে ৫ বছর এবং ১০ বছর মেয়াদি ইনভেস্টর ভিসা দিবে ওমান।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিনিয়োগকারীদের ৫ বছর মেয়াদি ভিসা ফি ৩০০ রিয়াল এবং ১০ বছরের জন্য ভিসা ফি ৫০০ রিয়াল ধার্য করা হয়েছে। সেইসাথে বিনিয়োগকারীরা চাইলে ১ বছরের জন্য তাদের স্ত্রী অথবা সন্তানদের ভিসার আবেদনও করতে পারবে। এই জন্য ১০ বছরের ভিসা প্রাপ্ত বিনিয়োগকারীদের ১০০ ও পাঁচ বছরের ভিসা প্রাপ্ত বিনিয়োগকারীদের ৫০ রিয়াল প্রদান করতে হবে। এছাড়াও উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের ভিত্তিতে এই ভিসার মেয়াদ বাড়াতেও পারবেন বিনিয়োগকারীরা।
আরওপি আরো জানিয়েছে, “যারা বিনিয়োগ বা রিয়েল এস্টেটের মাধ্যমে ইনভেস্টর ভিসা পেয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে বয়সের প্রয়োজনীয়তা প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ তাদের বয়স ষাটোর্ধ হলেও ওমান থাকতে কোনো সমস্যা নেই। এছাড়াও কোনো প্রবাসী বিনিয়োগকারী যদি তাদের সম্পত্তি হস্তান্তর বা বিক্রয় করে তাহলে তার ভিসার মেয়াদ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আরওপি।
সিদ্ধান্তে আরও বলা হয়েছে, “নির্ধারিত ফি প্রদানসহ সংশ্লিষ্ট নিয়মনীতি অনুসরণ করেই ভিসা নিতে পারবে প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা। ওমানে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বাণিজ্য, শিল্প ও বিনিয়োগ প্রচার মন্ত্রণালয় (এমওসিআইআইপি) সম্প্রতি নতুন এই বিনিয়োগ কর্মসূচি চালু করেছে। নতুন কর্মসূচী অনুযায়ী আবাসন প্রাপ্ত বিনিয়োগকারীদের আরও প্রণোদনা এবং সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post