এক মাসের বেশি সময় ধরে ওমানের হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন প্রবাসী বাবুল। গত দোসরা মার্চ স্ট্রোক করে জালান বানি বুয়ালির একটি হাসপাতালে ভর্তি হন কুমিল্লার এই প্রবাসী। সেখান থেকে খোলা হাসপাতালে অপারেশন শেষে তার ঠিকানা হয়েছে সুর হাসপাতালে। কাজ না পাওয়া ও দেনা পরিশোধের মানসিক দুশ্চিন্তা থেকেই তিনি স্ট্রোক করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাবুলের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন তার দেখভালের দায়িত্বে থাকা মোসলেম নামের অপর এক প্রবাসী।
এই এক মাসে পরিবারের সদস্যরা বাবুলকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করেও সফল হননি। এজন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ তাদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ওমানে গিয়ে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ নেন বাবুল। তবে নিয়মিত কাজের ব্যবস্থা না থাকায় কাঙ্খিত উপার্জন ছিলোনা। আবার দেশেও ছিলেন ঋণগ্রস্ত। তাই দেনা পরিশোধের চাপও ছিলো।
সহকর্মীদের ধারণা, এসব চিন্তাতেই হয়তো স্ট্রোক করেছেন বাবুল। ইতোমধ্যে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাবুলকে দেশে ফেরাতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে একটি চিঠি ইস্যু হয়েছে। এখন সেই নির্দেশনার আলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে মাস্কাটের বাংলাদেশ দূতাবাস।
সদ্য সমাপ্ত মার্চ মাসে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে মধ্যপ্রাচ্য ও ওমান প্রবাসীদের। তাদেরই একজন পরিবারহীন এবং বিনা যত্নে হাসপাতালে পড়ে আছেন- ব্যাপারটি মানতে পারছেন না সহকর্মী প্রবাসী শ্রমিকেরা। তারা দ্রুততম সময়ে বাবুলের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
