বিমানবন্দরে দ্রুত পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীরা। মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নীচে তারা অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করে।
প্রবাসীরা বলছেন, যখন বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলো, দেশ বিদেশের লক ডাউন শিথিল হতে লাগলো এবং আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল স্বাভাবিক হলো, তারপরও আমরা আমাদের কর্মস্থলে যেতে পারছি না আমাদের বিমানবন্দরে মাত্র একটি পিসিআর ল্যাব না থাকার কারনে।
অথচ আমিরাত সরকারের নির্দেশনা মেনে বাকি পাঁচটি দেশ তাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য নিজ নিজ দেশের এয়ারপোর্ট গুলোতে ল্যাব স্থাপন করে তাদের কর্মস্থলে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে আরো কয়েক সপ্তাহ আগেই।
অথচ আমরা এমনই হতভাগা জাতি, আমাদের কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য আন্দোলন করে, রাজপথে সভা সমাবেশ ও মানববন্ধন করে ল্যাব স্থাপনের দাবি বাস্তবায়ন করতে হচ্ছে দীর্ঘ এক মাসের বেশী সময়কাল ধরে।
আরো পড়ুনঃ
করোনা রোগীকে স্পর্শ করলেই করোনা হয় না
যেভাবে সরকারি অনুদান পাবেন প্রবাসীরা
বিদেশে মারা গেলে ক্ষতিপূরণ আদায় করবেন যেভাবে
আন্দোলনকারীরা বলছেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর আন্দোলনের ফলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন ৩/৪ দিনের মধ্য ল্যাব স্থাপনের জন্য। প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণার আজ ৯ দিন পার হওয়া সত্ত্বেও দৃশ্যমান কোনও অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
এমতাবস্থায় দেশ বাঁচাতে, লাখ লাখ রেমিট্যান্সযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে এবং রেমিট্যান্স খাতকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা জরুরি। সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তাদের অনুরোধ করবো, অনতিবিলম্বে ল্যাব স্থাপন করে আমাদের নিজ কর্মস্থলে যাওয়া নিশ্চিত করুন।
এসময় প্রবাসীরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমারা অনশন চালিয়ে যাবো। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে থেকে একটা ডেড লাইন চাই, কবে নাগাদ আমরা আমাদের স্বপ্নের ল্যাব সুবিধা পাবো এবং নিজ কর্মস্থলে যেতে পারবো।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post