শক্তিশালী ভূমিকম্প তছনছ মিয়ানমারের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বড় শহর। এতে বহু মানুষ হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে জান্তা সরকার। এ পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের সাবেক গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানতে উদ্গ্রীব তার সমর্থকরা।
অং সান সু চি ২০২১ সালে এক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে আটক রয়েছেন। মিয়ানমারের প্রাক্তন এ নেত্রী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হননি। রাজধানী নেপিদওয়ের কারাগারে তিনি বন্দিবস্থায় সুস্থ রয়েছেন। কারা কর্তৃপক্ষের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বার্মিজ সার্ভিসকে এ তথ্য জানিয়েছে।
২০২৩ সালে তাকে কারাগার থেকে স্থানান্তর করে গৃহবন্দী করা হয়েছিল সু চিকে। কিন্তু পরে তাকে রাজধানীর কারাগারে ফিরিয়ে আনা হয়। সেখানে বিভিন্ন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাভোগ করছেন তিনি।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর কেন্দ্র ছিল দেশটির মান্দালয় শহর থেকে প্রায় ১৭.২ কিলোমিটার দূরে এবং ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। প্রথম কম্পনের ১২ মিনিট পর ৬ দশমিক ৪ মাত্রার আফটার শক হয়। এসব তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস।
ভূমিকম্পের পর রাজধানী নেপিডো, মান্দালয়, সাইগাইংসহ ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার। উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত করা হয়েছে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সব বাহিনীকে।
এদিকে মিয়ানমারে ভূমিকম্পে কেঁপেছে থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস ও কম্বোডিয়া। এর মধ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে থাইল্যান্ডেও। ধসে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়েছে বহু মানুষ। চলছে উদ্ধার অভিযান।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post