মহামারী করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বাংলাদেশের সাথে ফ্লাইট বন্ধের পর অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার থেকে চালু হলো ঢাকা-কুয়েত সরাসরি ফ্লাইট। নির্ধারিত সূচি মেনে বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৩টা ৩০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুয়েতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় প্রথম ফ্লাইটটি।
করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশের সরাসরি বিমান চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে করোনার সংক্রমণ কমে আসায় ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে দেশগুলোর সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচলের অনুমতি দিয়েছে কুয়েত। বাংলাদেশ থেকে দেশটিতে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বাংলাদেশ বিমান ও কুয়েত এয়ারওয়েজ।
আরো পড়ুনঃ
করোনা রোগীকে স্পর্শ করলেই করোনা হয় না
যেভাবে সরকারি অনুদান পাবেন প্রবাসীরা
বিদেশে মারা গেলে ক্ষতিপূরণ আদায় করবেন যেভাবে
দুইটি এয়ারলাইন্স সোমবার ৭৫ জন, মঙ্গলবার ১৫০ জন, বুধবার ১৪৩ জন, বৃহস্পতিবার ৭৫ জন এবং রোববার ১০০ জন করে যাত্রী বহন করতে পারবে। কুয়েত এয়ারওয়েজের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, ঢাকা-কুয়েত ফ্লাইট পরিচালনা করবে সপ্তাহে ৫ দিন। সরাসরি ফ্লাইট প্রতি গুনতে হচ্ছে লাখ টাকার বেশি। তবে সরাসরি ফ্লাইটের টিকিটের আকাশচুম্বী মূল্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রবাসীরা।
কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশের সরাসরি বিমান চলাচল বন্ধ ছিল করোনার কারণে। স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা এবং বিমানবন্দরের যাত্রী ওঠা নামার ধারণ ক্ষমতা সীমিত থাকায় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল নিষিদ্ধ পাঁচ দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল। ৫ সেপ্টেম্বর মিসর এবং ৭ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়া থেকে কুয়েতে সরাসরি ফ্লাইট এসে পৌঁছেছে। কুয়েত মন্ত্রিসভা বিমানবন্দরের যাত্রী ক্ষমতা প্রতিদিন ১০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ফ্লাইট বন্ধের ফলে ছুটিতে গিয়ে বিভিন্ন দেশের তিন লাখ ৯০ হাজার কুয়েতে প্রবাসী নিজ দেশে আটকা পড়ায় আকামা বাতিল হয়েছে। কুয়েত সরকার অনলাইনে আকামা নবায়নের সুযোগ দিলেও স্পন্সরের সাথে যোগাযোগ না থাকায় আকামা নবায়নে ব্যর্থ হয়েছেন অনেক প্রবাসী।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post