স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সম্প্রতি একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান একসময় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মেনে নিতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)-এর মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ শুক্রবার তার ফেসবুক পেজে ‘বুকে পাথর চাপা দিয়ে মেনে নেয়া সিদ্ধান্ত’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন। সেই ভিডিওতেই আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে এই মন্তব্য করতে শোনা যায়।
ভিডিওতে উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া বলেন, “সেনাপ্রধানের দিক থেকে মূল আপত্তি ছিল, ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেন? অন্য কেউ নন কেন? ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে তো মামলা রয়েছে। তিনি একজন কনভিক্টেড ব্যক্তি। একজন কনভিক্টেড ব্যক্তি কিভাবে একটি দেশের প্রধান উপদেষ্টা হতে পারেন? আওয়ামী লীগ তো একজন ব্যক্তিকে একেবারেই দেখতে পারছে না।
এছাড়াও বাংলাদেশে ৩০-৪০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে একজন ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা করা কি উচিত? সেনাপ্রধান শেষ পর্যন্ত আমাদের বলেছিলেন যে, তিনি বুকে পাথর চাপা দিয়ে এই সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছেন।”
এই মন্তব্যের আগে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে আরেকটি পোস্টে উল্লেখ করেন, “৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের আর কোনো সুযোগ নেই, বরং আওয়ামী লীগকে অবশ্যই নিষিদ্ধ হতে হবে।”
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সেনাপ্রধানের মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির তত্ত্বাবধায়ক সরকারে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে এমন ‘অনিচ্ছা’র কথা প্রকাশ্যে আসায় বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে এই মন্তব্যের সত্যতা বা প্রেক্ষাপট নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, হাসনাত আব্দুল্লাহর আগের পোস্টটিও রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল, যেখানে তিনি আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে কঠোর মন্তব্য করেছিলেন। এই দুটি মন্তব্য একই সময়ে সামনে আসায় রাজনৈতিক মেরুকরণ আরও স্পষ্ট হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post