সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ভোটার হওয়ার জন্য ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। গত নয় মাসে শুধুমাত্র আমিরাত থেকেই ১৮ হাজার ৫৮৯ জন প্রবাসী অনলাইনে ভোটার নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন। নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র শাখার তৈরি করা এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশন সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত ও মালয়েশিয়া—এই সাতটি দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই প্রক্রিয়ায় প্রবাসীরা প্রথমে অনলাইনে আবেদন করেন এবং পরবর্তীতে দূতাবাসের নির্ধারিত স্থানে এসে ছবি তুলে ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হন।
নির্বাচন কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সাতটি দেশ থেকে মোট ৪২ হাজার ২৬৯টি আবেদন জমা পড়েছে। এদের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে তিন হাজার ৪০১টি আবেদন বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে ২০ হাজার ১৮৪টি আবেদন উপজেলা নির্বাচন অফিসে তদন্তাধীন রয়েছে এবং ১৭ হাজার ৬০৭ জনের আবেদন ইতোমধ্যে অনুমোদন লাভ করেছে। এছাড়াও, ৪৫৭টি আবেদন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক ২২ হাজার ১২৮ জন আবেদনকারীর আঙুলের ছাপ ও ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে, যার সংখ্যা ১৮ হাজার ৫৮৯। এর পরেই রয়েছে সৌদি আরব, যেখানে ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রবাসী ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। অন্যদিকে, মালয়েশিয়া থেকে সবচেয়ে কম, মাত্র ৭৮৪টি আবেদন জমা পড়েছে। এই সকল আবেদন গত বছরের মে মাস থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। এছাড়াও, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলমান রয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন আশা করছে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আগামী জুনের মধ্যে আরও কয়েক লক্ষ নতুন ভোটার তালিকাভুক্ত হবেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী ভোটারের আবেদন গণতন্ত্রের প্রতি তাদের আগ্রহ এবং দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের আকাঙ্ক্ষাকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post