সৌদি আরবে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রবাসীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার। গত এক সপ্তাহে, অর্থাৎ ৬ মার্চ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত, সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়ে ২৩ হাজারের বেশি প্রবাসীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই অভিযানে অবৈধ অভিবাসনের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযানের বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রদান করেছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, একই সময়ে আটককৃতদের মধ্যে ১০ হাজার ৩৩১ জন প্রবাসীকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি, আরও ৩৯ হাজার ৯৭৬ জন প্রবাসীর বিরুদ্ধে দেশটির প্রচলিত আইনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এই ব্যাপক ধরপাকড় এবং ভিসা বাতিলের ঘটনা সৌদি আরবে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের জন্য একটি সুস্পষ্ট সতর্কবার্তা।
সৌদি সরকার অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করেছে, যার প্রমাণ এই স্বল্প সময়ের মধ্যে এত বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর আটক ও ফেরত পাঠানোর ঘটনা।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই অভিযান শুধুমাত্র অবৈধভাবে বসবাসকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেই নয়, বরং যারা ভিসার নিয়মাবলী লঙ্ঘন করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও পরিচালিত হচ্ছে। সৌদি আরবের শ্রম আইন এবং অভিবাসন নীতি কঠোরভাবে মেনে চলার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরব তাদের শ্রমবাজারকে সুসংহত করতে এবং অবৈধ শ্রমিকদের আগমন ঠেকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
এই ধারাবাহিকতায়, দেশটিতে অবৈধ প্রবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। এর ফলে, অনেক প্রবাসী তাদের সৌদি ভিসা এবং সেখানে বসবাসের অধিকার হারাচ্ছেন।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকল প্রবাসী নাগরিককে দেশটির ভিসা এবং অভিবাসন সংক্রান্ত নিয়মাবলী যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
অন্যথায়, আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপ সৌদি আরবের শ্রমবাজারকে একটি সুশৃঙ্খল কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে সহায়ক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post