ওমানের হাইকমিশনার পরিচয়ে ভারতে প্রতারণা করে আসছিলেন এক ব্যক্তি। অবশেষে মাত্র দুটি শব্দের ভুলে ধরা পড়েছেন ৬৬ বছর বয়সি ভারতের সাবেক উপাচার্য ড. কে এস রানা। টানা এক বছর ধরে তিনি এই প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন।
জানা যায়, ভারতের গাজিয়াবাদ পুলিশ কমিশনারেট ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দপ্তরে মঙ্গলবার একটি চিঠি পাঠানো হয়। এতে লেখা ছিল, সালতানাত অব ওমান, মাসকাট-এর হাই কমিশনার ড. কে এস রানা-র জন্য প্রয়োজনীয় প্রটোকল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
শুরুতে পুলিশ এতে কোনো অস্বাভাবিকতা খুঁজে পায়নি। তবে গাজিয়াবাদ পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার মিশ্র চিঠির একটি ভুল লক্ষ্য করেন। তিনি বলেন, ‘ওমান কমনওয়েলথভুক্ত দেশ না হওয়ায় সেখানে “হাই কমিশনার” পদবি থাকার কথা নয়। এতে সন্দেহ হওয়ায় তিনি দলকে চিঠির উৎস যাচাই করতে বলেন।’
কূটনৈতিক নিয়ম অনুযায়ী, ‘হাই কমিশনার’ শব্দটি কেবল কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যাচাই শেষে বৃহস্পতিবার কে এস রানাকে ভুয়া পরিচয় ব্যবহার, তথ্য গোপন ও নকল নথি প্রস্তুতের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তে জানা যায়, রানা ভারতের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। তার কথিত ‘ব্যক্তিগত সচিব’ দেব কুমারের লেখা চিঠিটিই ছিল বড় সূত্র।
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রানা নিজেকে ওমানের হাই কমিশনার পরিচয় দিয়ে প্রশাসনিক প্রটোকল কাজে লাগিয়ে বিশেষ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
এর আগে তিনি মথুরা ও ফরিদাবাদে ভিআইপি প্রটোকল নিয়েছিলেন এবং দিল্লির এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ‘ওমানের হাই কমিশনার’ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ ওমানের দূতাবাস ও রানার আগের কর্মস্থলগুলোতে চিঠি পাঠিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
