সৌদি আরবে কর্মক্ষেত্রে ভুয়া অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে ছুটির আবেদন করা এখন থেকে আর মামুলি বিষয় নয়, বরং এটি সরাসরি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এক কঠোর বিবৃতিতে এই নতুন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনো কর্মী এই ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নেন এবং তার প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তাকে সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে। শুধু তাই নয়, এর সাথে যুক্ত হতে পারে ১ লক্ষ সৌদি রিয়াল পর্যন্ত বিশাল অঙ্কের জরিমানা, যা প্রায় ২৬ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলারের সমতুল্য।
এই কঠোর পদক্ষেপটি মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অননুমোদিত চিকিৎসা ছুটির সুবিধার অবৈধ প্রচারণার ক্রমবর্ধমান বিস্তার এবং সেই সংক্রান্ত উদ্বেগের ফলস্বরূপ নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই দেশের সকল নাগরিককে এই ধরনের ভুঁইফোঁড় প্ল্যাটফর্ম এবং প্রতারণামূলক পরিষেবা থেকে সাবধান থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, এই ধরনের কার্যকলাপ সম্পূর্ণরূপে অবৈধ এবং এর সাথে জড়িত যে কেউ কঠোর আইনি ব্যবস্থার আওতায় আসবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও জোর দিয়ে বলা হয়েছে, কর্মীদের কর্মক্ষেত্রের জন্য অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদনপত্র (‘সিক লিভ রিপোর্ট’) ইস্যু করার একমাত্র বৈধ এবং সরকারিভাবে অনুমোদিত প্ল্যাটফর্ম হল “সেহহাতি”।
এই প্ল্যাটফর্ম ব্যতীত অন্য কোনো মাধ্যমে সংগ্রহ করা ছুটির কাগজপত্র অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং প্রয়োজনে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চিকিৎসা ছুটির অপব্যবহার কঠোরভাবে দমন করার লক্ষ্যে, সৌদি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল নজরদারি ব্যবস্থা চালু করেছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি রোগীর স্বাস্থ্য বিষয়ক ডেটাবেজের সাথে দাখিল করা চিকিৎসা ছুটির আবেদনপত্র যাচাই করা হবে।
এই ক্রস-চেকিং প্রক্রিয়ার মূল উদ্দেশ্য হল, যেকোনো ধরনের জালিয়াতি বা প্রতারণামূলক তথ্যাদি অবিলম্বেই শনাক্ত করা। কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ কর্মক্ষেত্রে ডিসিপ্লিন ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি প্রকৃত অসুস্থ কর্মীদের অধিকার সুরক্ষিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
