জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী সম্প্রতি ছাত্র সমাজের রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে এক তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। দেশের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে তার এই মতামত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
আজহারী সুস্পষ্ট ভাষায় বলেন, ছাত্রদের জন্য নতুন রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। তবে, এই উদ্যোগের মূলে থাকতে হবে পবিত্র উদ্দেশ্য ও মহৎ আদর্শ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ছাত্ররাই জাতির ভবিষ্যৎ, আর তাদের রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা সঠিক পথে পরিচালিত হওয়া অপরিহার্য। একটি রাজনৈতিক দলের প্রকৃত সফলতা তখনই আসে, যখন তা সৎ উদ্দেশ্য ও গভীর দেশপ্রেমের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে জনগণের কল্যাণে নিবেদিত থাকে।”
তিনি আরও যুক্ত করেন, “রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একেবারে জলের মতো পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। ছাত্র সমাজকে তাদের নিজস্ব বিশ্বাস ও আদর্শের ভিত্তিতে দল গঠন করতে উৎসাহিত করা উচিত, কিন্তু সেই গঠনমূলক প্রয়াস যেন কোনো প্রকার অনৈক্য বা সংঘাতের জন্ম না দেয়। বরং ছাত্র রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত সমাজকে উন্নত করা এবং সর্বত্র শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা।”
ছাত্রদের প্রতি বিশেষ বার্তা দিয়ে আজহারী বলেন, “যদি তোমরা সত্যিকার অর্থে দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে চাও, তাহলে শুধুমাত্র রাজনৈতিক দল তৈরি করার মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রেখো না। বরং নিজেদেরকে জ্ঞান ও দক্ষতায় সমৃদ্ধ করে তোলো। মনে রাখতে হবে, সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখাটাও দেশপ্রেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ আজহারীর এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। বিশেষ করে, ছাত্র সমাজের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দলের ধারণা নিয়ে যখন নানা প্রকার জল্পনা-কল্পনা চলছে, তখন তার এই বক্তব্য দিকনির্দেশনারূপে কাজ করবে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে, সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করেছেন যে, যেকোনো রাজনৈতিক উদ্যোগের মূল ভিত্তি হওয়া উচিত সঠিক উদ্দেশ্য ও দেশের অকৃত্রিম কল্যাণ কামনা।
আরও দেখুনঃ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
